মা তুর পায়ে পরি প্রণাম করি
একবার চেয়ে দেখ,
কি সুন্দর ছিল বাংলা
এখন কি তার বেশ !
জিজিয়া কর বসছে মাথায়
মরছে মানুষ হিন্দু-সেখ।
প্রেম প্রীতি মাথায় তোলে
ভুলছে সংস্কৃতির রেশ ।


ত্রিনয়নী মাগো তুই,
সবই তুর জানা
এদেশ এখন কয়না কথা,
বিশ্বাসের নেই দানা।
আলতা পুলিশ পিটাই করে,
মন্ত্রীর নেই মানা,
ছাত্ররা সন্ত্রাস  করে,
সন্ত্রাসী দেয় হানা।


মাগো আমার দশভূজা
দুঃখ বিনাশিনী,
ডিটেনশন সেন্টারে মা
শুধুই কান্না শুনি।
আতঙ্ক করছে তাড়া
বাংলার ভাগাভাগি,
মায়ের সন্তান অচেনা
পিতৃ পরিচয় লাগি।


দশানন সম রাজা
দশদিক ভ্রমে,
কার্ডের লাইনে জনতা
মরছে যথাক্রমে ,
মুর্খের গর্জনে আর
পেশীর বিক্রমে
শঙ্কা ভয় গ্লানি সয়
নিরবে নিজ সম্ভ্রমে।


সীতা ঘরে পুড়ে মরে
লাখে লাখে প্রতিদিন,
কার্তিক গনেশ পোষ্টারে
লক্ষী দেয় বীণা'র ঋণ।


মাগো আমার অন্নপূর্ণা
নীলকন্ঠ বিহারি,
পথে পথে মহিসাসুর
চাঁদায় ত্রস্ত পথচারী,
নদীতীরের কাশবন
ফিকে শরত ফেরারী,
চিন্ময়ী কাঁদে কূড়ে ঘরে
মৃন্ময়ীদের বাড়াবাড়ি।


ধর্ষিতা মা, পূজিতা মা
নির্যাতিতা  নারী,
লক্ষ মা কাঁদছে শোকে
কোটি'র নেই বাড়ি,
হাজার মা সুখ উল্লাসে
খুলছে মা'য়ের শাড়ি,
আমার মা আতঙ্কে
ঝরাচ্ছে নয়ন বারি ।