ঝরা কদমের গন্ধ বড় বিশ্রী বিদ্ঘুট
আরো বেশী নাকে লাগে জলের ষ্পর্শে
অথচ কদম বর্ষা কালেই ঝরে !
বানের তোড়ে ভেসে চলে খালে বিলে
গলির মোড়ে মোড়ে বসতের ভীড়ে,
দুর্গন্ধের বেশাতি খোলে বসে
ফেরি করে দোরে দোরে ।
নিকোটিনের সংমিশ্রনে
মানুষের দূষিত রক্ত যেমন
ফুসফুসের হাড়গোড় পচিয়ে...
ঝরা কদমের গন্ধ আমায়
পাগল করে দেয় ভেতর থেকে ।
কদমের গোল বলের মতো
মাংসল পুষ্পাধার , সেই ছেলেবেলা থেকে
হাতছানি দিত আমায়
কিশোরী লাবনীর মর্মস্থল,
কদম ফুলের বিকীর্ণ বিন্যাস
বিমোহিত করতো নিয়ত,
সাদা - হলুদের বিচিত্র বিকাশে
হৃদপিণ্ডে টুং টাং শব্দ হতো ।
বিক্ষিপ্ত ভালোবাসার পরে
জ্যোৎস্নার সহচরী যখন
মেলে ধরে নিজেকে উদার হয়ে
বর্ষার শুরু হয় হিজল বনে,
ক্ষ্ণিকের বংশীবদন কদম ডালে
খেলা করে কেটে পরে বর্ষার শেষে
একে একে ঝরে পরে কদম ফুল
বিশ্রী বিদ্ঘুট দুর্গন্ধ নিয়ে ।
এত ঝড় বাদলের পরেও
আমার জানালা খোলা থাকে
গোপাট বেয়ে বানের জল
গড়িয়ে যায় খাল-বিল-নদী-নালায়
শেষে গিয়ে মিশে হয়তো সমুদ্রের নোহনায় !