আজকের এই মহা পঞ্চমীর রাতে
রাত বারটা বাজে, মাইকে মুখ্যমন্ত্রী।
পাশের ক্লাবের রবীন্দ্রসংগীত এবং
তার পরের ক্লাবের "বোতল চাই" গান
চলছে যেমন চলছে তেমন।


একটা ঢাকাই বিরিয়ানীর দোকান
বড় বেমানান খরিদ্দার অকারণ
বেরসিক কথাবার্তা, অশালীন আচরণ
অতঃপর উত্তম মধ্যম এবং কপাট বন্ধকরন
এভাবেই নিরর্থক কুজাগরীর অবসান।


আসার সময় প্রনাম করে চেয়ে দেখি
মায়ের মুখে বিষাদ হাসি, বিষন্ন বদন
একি গো মা!  সবে এলে!  সবই তো ঠিক আছে!
দৈববাণী আসলো কানে, ' গর্ধব (!)  
লেখালেখি দেখ কি?  কাগজে বা বইয়ে।
আজকাল বড্ড বেশী মাতামাতি হচ্ছে যে
মাটি আর রক্ত মাংসের বিভেদ নিয়ে ; '

ওহ্,  তাইতো ,  তাইতো,  তা বেশ তো
প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ হবেই তো!
"হবে তো হোক না, আমার কি তাতে আসে যায়
মৃন্ময়ীকে সামনে রেখে চিন্ময়ীদের লোক দেখানো
মেকি কান্নার,  কেন এত বাহানা!  সারাটা বছর,
প্রতিটি দিনের একটা হিসেব হোকনা। " বললেন মা।
অমন সময় মিষ্টি করে আমার ঘরে আমার দুগগা মা (!)
চা হাতে হাত বুলিয়ে কপা,  ডাকদিলেন, 'চা খাবে না '।