সেই কবে ভোর হয়েছিল,
আচমকা তিমির নেমে এসে নাম দিল রাত্রি ।
দিগন্তের খুঁজে , দিগন্তের সূর্যটার খুঁজে  -
এক দল পাখি - ডানা ঝাপটে এগোচ্ছে অবিরত ।
নৈশাচারী হিংশ্র শার্দুলের থাবায় ঝড়ছে রক্ত ;
নেশাচ্ছন্ন চক্ষু মোদেনি কোনদিন,
ডানা ভাঙ্গার কাতর সুরে - ছন্দ হারায়নি সারি
ঝরে পরা পাখিদের টানে ।
শুধু চলা, চলে যাওয়া - দৃপ্ত কন্ঠে গান গাওয়া
অভিমুখ একটাই - সূর্য্য ।
যত বড় হোক রাত একদিন হবে শেষ - জানে ;
ঝরা রক্তবিন্দু ঝরবে বৃষ্টি হয়ে,
লালস্নাত পৃথিবী - ধুঁয়ে মুছে সাফ হবে
রক্ত খেঁকো ভাম্পায়ারদের তাড়িয়ে ।
পাখিরা ভোর আনবে - কলতানে
সূনীল আকাশ - বুকে সাদা মেঘ,
নির্ম্মল বাতাস - সবুজ দোলা
আবার হাতছানি দেবে - জীব্ন ;
বেঁচে থাকা অনুভবে -
"এক পৃথিবী সবাই মিশে আছি মিলে
শ্রেনী ভেঙ্গে বিভেদ ভূলে
অর্জিত অধিকার বুকে নিয়ে "
আবার নামবে রাত্রি - শুরু হবে চলা,
অভিমূখ একটাই ......।