রেবা তোমার মনে পড়ে,
    মামার বাড়ীর পুকুর পাড়ে
    ঈশান কোনের তেঁতুল গাছে
    হামদো ভূতের দেখা পেতে,
    পুকুর জলে নেংটো হয়ে
     বসেছিলাম ঘাপটি মেরে,
সেদিন তোমার ষ্পর্ষ আমায়
ঊষ্ণতা দেয়নি ।
হেমন্তের মহোৎসবে
লুকোচুরির খেলায়
বড় মামার ধানের ডুলে
ঘাম ভেজা শরীরে
চুপচাপ কাতুকোতু দিলে,
সেদিনও ঊষ্ণ ষ্পর্ষ তোমার
আমায় শিহরন দেয়নি ।
গেলবার পূজার শেষে
  মামার বাড়ী গেলে,
তুমি যখন দৌড়ে এলে
শাড়ী পরে ছাড়া চুলে
কপালের লাল সিঁদুর নিয়ে
কঁকিয়ে উঠ্ল বুকটা আমার,
তোমার শ্বাসের গরম হাওয়ার ঊষ্ণ
শরীরটা শিহরিত হৃদয়টা ষ্পন্দিত করে
হাসলে - শেষ হাসিটা ।
আজ বিকেলে সেই পুকুরে নাইতে গিয়ে
শুনতে পেলাম তোমার মায়ের বজ্রগভীর বিলাপ ;
"রেবা তুই, কি করলি কই গেলি আমায় ছাইরা,
মর লি কেরে এই ব'সে মাইয়া ।"
রেবা তুমার শেষ কথাটা আজ
বড়ই মনে পরে, "শান্তি নাই" ।
আজকে যখন মুখে মুখে - আত্ম হত্যার গল্প লিখে ;
বুজলাম - বুজল না সমাজ তোমায়
তোমার সরল হাসির ভাষা,
জীবন দিয়ে জবাব দিলে - স্বাধীন হলে,
আমায় দিলে শিহরন, গভীর ঊষ্ণতা ।