কৃষ্ণকলির কথা আর লেখা হয় না খাতার পাতায়
সাদা পাতাগুলো বিদ্রুপে দাঁত ভ্যাংচায়,
সারে দশটা - এগারটা বা রাত বারটায়
অনামিকার কম্পনে বৃদ্ধা মধ্যমা বিফল হয়ে
ভূলে গেছে শেষ কবে ধরেছিল কলমটা ।
এখন বসন্ত আসে হোলির হাত ধরে
আবির ঝরে শূন্য বাতাসে,
কূঁড়ির সবুজ - আকাশের নীল - দিগন্তের লালা
হাতছানির কবিতা'রা হাসে,
কতশত কৃষ্ণকলি রোজ মরে ।
অচিন্ত্য আজ বড় ব্যস্ত ; কাজের পাহাড়
টাকার সিঁড়ি বেয়ে অট্টালিকার স্ব্প্ন,
নেশায় বোঁদ করে ঘরে ফেরায়,
এ নেশা রক্তের  রং বদলায় ।
বিষাক্ত বাতাস পাঁজর কূরে খায়,
ই.সি জি, ব্রঙ্কোষ্কপি 'রা
কৃষ্ণকলি হয়ে রাত জাগায় ।
ফেসবুকের পৃষ্ঠায় অনূ পরমানু সাইজের বন্ধুরা
কখনো সখনো মনে করায়,
কৃষ্ণকলি' বড় সেকেলে নামটা ।
কৃত্তিম ঝরনা কিংবা গ্রেনাইট পাথরের মেঝে
বড় বেমানান হবে ;
কবিতার কৃষ্ণকলিদের পাশে ।
নামটা বদলে দেওয়া যায় অনায়াসে
একটা এফিডেভিট করে ,
সম্ভব হলে ডিলিট করে দাও তাকে
তোমার ডিকশনারি থেকে ।।