সেদিন রাতের হঠাৎ হাহাকারে
ঘুম ভেঙ্গে শুনি আলোমতি কাঁদছে,
দৌড়ে গিয়ে ভীড় ঠেলে দেখছি "প্রান" আছে এখনও,
তৎরতায় গাড়ী ডেকে হাসপাতালে বেডে শুইয়ে
শ্বাস নিলাম, চারিদিকে একটানা ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক
নৈশব্দের আবহ সংগীতে শরীর শিহরায় ।
মাঠের ওপারে কুকুরের ঘেঁঊ আঁধার কাঁপায়
দলছুট একটা শারমেয় কঁকায় ।
আলোমতি ফুঁপিয়ে কাঁদে একটু বাদে বাদে
"পোলাডা আমার মইল অকালে"।
শীর্ণকায়া আলোমতি্র ক্ষীনকায় দারক
কোন বেভূলে বিশ খায়, মৃত্যু ডাকে
জীবন তো তাদের মৃত্যুর চেয়েও অনেক বেদনাদায়ক ।
দেহের কঙ্কালটাকে অনেক কষ্টে চামড়ায় ঢেকে
মা - পুতে বেঘোঢ় খেটে স্ংসার রাখে,
বছর ছয়েক আগে আলোমতিরে মৃতদার করে
কর্তা পাড়ি দিয়েছে ওপারে, ছেলেটা হাতের পাঁচ
ফেনটা লুকিয়ে মায়ের উদর পুরে ছেলে অবিদিত,
তবুও পড়ার বেঘাৎ যেন না ঘটে ।
ডানা ঝাপটায় নিশাচর, পেঁচার কূজন প্রতিধ্বনি করে
তেপান্তরের অশরীরিদের গায়ে,
শেষ নিঃশ্বাস দেখতে ডাকে ডাক্তার
আলোমতি গলা ছেড়ে কপাল চাপরায় ।