(গত ২৩ শে জুন আমার এলাকার প্রতিটি সংবাদ পত্রের হেড লাইন ছিল এই সংবাদটি, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই রচনার প্রয়াস)
সাত পাকের বছর ছয়
(গত) বছর দুয়েক দুরে রয়,
মউ বনে ভ্রমর গায়
এ জ্বালা কি বুকে সয় ।
উদাস মনের আকাশ নীলে
রোদ মেঘের খেলা,
বিদেশ বিভূঁই দোলাচলে
বিরহের জ্বালা ।
মুঠো ফোনে বার্তা বয়
এ জ্বালা কি বুকে সয়
আসলে একদিন ভাল হয়
ঝগরা ঝাটি কিছু নয় ।
ঈশান কোনে মেঘ জমে
কালবৈশেখী ঝড় উঠে,
সন্তানের নাড়ীর টানে
হু হু করে মন ছুটে ।
সুখ ডাকে লাগে ভয়
(পাছে) অভিসন্ধির সুযোগ লয়,
সে যে চালাক অতিশয়
তবুও যে যেতেই হয়।
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
চিত্ত জুরে নৃত্য,
অফিস কামাই গুড বাই
ভার্যা স্বপ্নে মত্ত ।
মিষ্টি ফলের বোঝা লয়
দখিন হাওয়া মাঠে বয়,
কল্পনাতে কথা কয়
সন্তানের মুখ কেমন হয় ।
লাল দিগন্তে সূর্য্য ডুবে
জ্যোৎস্না উঁকি মারে,
তিমিরে কূজন হারায়
ঝিঁ ঝিঁ পোকার দরবারে ।
গোধুলীর সংশয়
বিহগ ঘর লয়,
দেখি বর মহাশয়
বনিতা দুরে রয়।
অকস্মাত পেছন হতে
ধেয়ে আসে জ্বালানী,
অনল সংযোগ তাতে
হাসে দুরে গৃহিনী ।
দাহক পতির দহন জ্বালায়
দয়িতা ঘাবরায়,
চিৎকারি মানুষ জানায়
জীবনের শেষ বেলায় ।
চকিতে স্বামী জরায়ে বউ
মেঝেতে গড়াগড়ি,
হায় বিধাতা একি খেলা
পলকে যায় মরি ।
মা কাঁদে শিশু কাঁদে
কাঁদে মানুষজন,
এক মরাতে দুজন মরল
(হল) সমাজের শিক্ষাঙ্গন ।।
(ঘটনাটি শুনে আমি আর্শ্চযাম্বিত হয়েছিলাম বলেই এতটুকু লেখার সাহস পাই ।)