হাজার ভূরিভোজের ক্লান্তি বাবার শরীর বেয়ে
আলোর রোশনাই গুলো বড্ড চোখে লাগে
রাত গভীরে, বাসর ঘরে ফুলের বিছানা পেতে
জন্মদা বসে আছে অজানার ভয়ে' তখনো মেয়ে ।


প্রথম যৌবন ডালি পরিমলে পশিল পিতা ঘরে
যূগান্তরের ভক্তি শ্রদ্ধায় মাতা সপিল নিজেরে,
আগুলি বরন ডালা উভয়ে মাতিল জৈবিক জ্বরে
উৎপাদিকার গর্ভে আমার ভ্রুণ ঝড়িল নির্জ্জরে ।


আমার স্থিতি মায়ের প্রতি বাড়িল প্রীতি অগোচরে
জীবন গতি দিবা রাতি সৃজিল স্মৃতি অভিসারে ,
গর্ভদায়িনী চঞ্চলা হরিণী পূঁযপূর্ণ ধীরে ধীরে
বিশ্বালোকের ঝলসানি চোখে জন্ম জনতার ভীরে ।


অসীম আনন্দ ধারায় হিল্লোলিত পিতা শুধান
এ মহান লগ্ন রচিল নিসর্গজ কার দারিকা - নন্দন ?
তনয়া বুকে লইয়ে মাতা ছল ছল চোখে জানান
এ নহে নন্দন দারিকা তোমার করিবে কি গ্রহন ?


সৃষ্টি সুখের উল্লাস মজিল নিমেষে ধরিল রূপ মহাকায়
দৃষ্টি দানব পশিল ঘরে কাড়িল ক্রোড় মাতা নিরূপায়,
জ্যান্ত আমার ঘর হইল কবর ধরিত্রী দিল ঠাই,
কন্যা জন্মিলাম বলে ধরায়  নাই মোর স্থান নাই  ।।