কাল যে গেল রথযাত্রা,
   যেতেই হলো আমাকে,
মেলা টেলা ওসব বায়না
  ভাল্লাগেনা আগে থেকেই ।


হাজার লোকের মজার ভীরে
   জগন্নাথ অন্তর্যামী,
জীবের মুক্তি ভক্তের ভক্তি
   অন্তর্ঘাত নাস্তিক আমি ।


নিরীশ্বরবাদী নই বলেই
   বাল্য বন্ধুর আবদার,
রথের মেলা চাকার ভেলা
   টানতে গেলাম আবার ।


ঘামের গন্ধ বাঁশীর ছন্দ
   টাটকা রোদে শ্বাস বন্ধ,
বন্ধু পত্নীর মনের দ্বন্দ
    কম্পিত বুকের আনন্দ ;


রথ দিল পথ করে
   বন্ধু গেল হারিয়ে,
উত্তেজনার খেই ধরে
   সীমা গেল ছাড়িয়ে ;


হাতে হাত ঘামে ভেজা
   ভেজা চুলের সুবাস মেশা,
নবোঢ়ার কাছে ঘেঁষা
   মাতাল করা গোপন নেশা ;


আমায় পাগল করে করে
   এক সময় বিশ্বাসে,
এলায় মাথা বুকের 'পরে
   মুগ্ধ হয়ে পৌরষে ।


বন্ধু আমার অনেক পরে
   এল যখন ফিরে,
ফিসফিসিয়ে বলে কানে
   পলাই ইচ্ছে করে ;


অনেক বছর পরে আবার
   দেখতে পেলাম তাকে,
তাইতো তোদের ছেড়ে দিয়ে
   গেলাম নদীর বাঁকে ।


শুষ্ক গলায় অনেক কষ্টে
   মিষ্টি হাসি হেসে
বললেম আমি যা' না আবার
  আমি আছি পাশে ।


বন্ধু আমার ছুটে গেল
   স্মৃতি প্রেমের প্রীতিতে,
জড়িয়ে ধরে আদর করে
    তাড়ালাম ভীতিকে ।


জাগিয়ে তারে আলতু করে
    জড়িয়ে ধরে লোকের ভীড়ে,
ভরসা দিলাম প্রান ভরে
     সখেদ সলীল চটকে ।


দিলাম কথা আবার দেখা
     হবে ফেরা রথে,
কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত মিত্র
     আমার আপ্ত পথে ।


কাল যে গেল রথযাত্রা
   আসুক আবার ফিরে,
হাজার বছর থাকবো বেঁচে
   এই জনতার ভীড়ে ।


বন্ধু আমার রচবে সুখের
   ইতি প্রেম পুনশ্চঃ,
নবোঢ়ার হতাস চোখের
   লব্দ প্রেমে হবো আমি আসিক্ত ।।