ক্ষেতের আলে ঘাস জমেছে
     বাবা পাড়ল হাঁক,
  মা বলল ঘাসের সঙ্গে
    আনিস্ কিছু শাক ।
হেমন্তের এই সকাল বেলা
     মৃদু মন্দ হাওয়া,
বিরক্তির শ্লেষ মাখা মুখে
   ঘাস কাটতে যাওয়া ।
ধানের শীষে শিশির বিন্দু
   রবিচ্ছটায় স্বর্ণবরন,
আহা মরি এ রূপ দেখি
  এতেই মোদের জীবন মরন ।


ধানের গন্ধে ম্ ম্ করে
  ফুলে ভ্রমর ঘুড়ে,
দামাল হাওয়া ঢেউ খেলে যায়
  সমস্ত মাঠ জুড়ে ।
কাঁচি হাতে আলের ধারে
     মুঠো ভর্ত্তি ঘাস,
এই খানেতেই গড়ে উঠে
   কোলা ব্যঙের বাস ।


এই খানেতেই জীবন সূধা
   প্রেম প্রীতি ভাল বাসা,
এইতো মোদের বাঁচা বাড়া
  মান অভিমান গর্ব আশা ।
লাঙল চষি বীজ বুনি
  ফসল কাটি ঘরে আনি ,
মাতৃ স্নেহে লালন করে
  বাঁচায় মোদের এই ধরনী ।


তোমরা যারা টাকা বানাও
  কাঁচের ঘরে বসে,
টাকায় কিন্তু পেট ভরেনা
  ভরে ফসল চাষে ।
উদর পুর্তি মহা ফুর্ত্তি
  যাই করনা কেন,
আমরা যদি না করি চাষ
  সবই মিছে জেনো ।


তাই বলে ভাই তোমাদেরকে
  করিনা অসন্মান,
প্রকাশ হোক জগৎ মাঝে
  চাষীর অবদান ।
বিশ্ব মাঝে বেজে উঠুক
  সাম্যবাদের গান,
তবেই না থাকবে টিকে
  সবার সজীব সুস্থ প্রান ।


অহংবোধে যে যার কাজে
  হয়ে স্বার্থত্যাগী ,
কাজ করে যাও মাঠে ঘাটে
হয়ে মনযোগী ;
ফলবে সোনা ভরবে দেশ
  ঘুঁচবে ক্লান্তি মুছবে ক্লেশ,
লাঙল কলম তরোয়ালের
  রইবে না আর কোন বিদ্ধ্বেষ ।


ভেবে ভেবে কল্পনাতে
দেশের মাটি সোনা করে,
রোজ নামচার তৃণাহরন
  করে চলি আজ্ঞা ভরে ।
অঘ্রানের এই মাতাল গন্ধে
  অঙ্গে কাঁদা মাখি,
আবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে
  বুজে আসে আঁখি ।।


সবাই চলো এক সুরেতে
গেয়ে যাই গান,
আমরা সবাই মানুষরে ভাই
আমরা সবাই সমান ।
কেঊবা চষে কেঊবা লিখে
  কেঊবা ঊড়ে কেঊবা ডুবে,
সবাই আমরা সোনার ছেলে
বৈচিত্রের এই মহা ভবে ।