বন্ধুরা, আজকে আমি ভীষন আপ্লুত । তাই আর চেপে রাখতে পারছি না । আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি তখন থেকেই কবিতা লেখার প্রতি আমার একটা আকর্ষন তৈরী হয় এবং আমি খাতার পাতা, ছেড়া পাতায় অসংখ্য লেখা লিখেছি, সে সব গুলিকে কবিতা বলতেও আমার ভয় হয়, পাছে কবিতারা না বিমুখ হয় । মাঝখানে বছর দশেক একে বারেই হারিইয়ে গেছিলাম কবিতার জগৎ থেকে অনেক কারনে, যেভাবে হয়ত অনেকেই হারিয়ে যায় । আজকে যখন এই ইন্টারনেটের দৌলতে আবার লেখা শুরু করলাম, অনেক খুজাখুজি করে পুরোনো একটা খাতা পেয়েছি , যার রচনা কাল আমার কলেজ ও কলেজ পরবর্ত্তী কিছু সময় ; আমি আগামী কয়েক দিন এই খাতা থেকে আমার কিছু কবিতা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি - কবিতা গুলো মন দিয়ে লেখা মান দিয়ে নয় -- তাই সকলের সহযোগীতা কামনা করি । এখানে সাগরিকা সিরিজের একটি লেখা )


সাগরিকা তুমি,
    না আমার প্রেমিকা নও
     কিংবা স্বপ্নের নায়িকা ।
    তুমি একজন সাধারন মেয়ে
    এ শহরের আরও হাজারটা মেয়ের মতোই,
    তোমার টানা টানা চোখের চাহনি
    হরিন চঞ্চলা স্বভাব,
    মোটেই ভাল লাগেনি প্রথমটায় ।
    ঘরে বসে একাকী
    কবিতার খাতার সামনে যখন
    কলমটা কামড়াচ্ছিলাম, হঠাৎ মনে হল -
সাগরিকা তুমি,
    স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ,
    যেমন করে মুখ -বুক ভরে যায়
    ভারতবর্ষ' নাম উচ্চারনে
তেমনি, ভরে যায় বুক তোমার মধুর নাম স্মরনে ।
     যেমন করে দেখিনি তোমার
     জন্ম শিশুর লগ্ন টুকু,
     দেখেছি শুধু কৈশোরের  অপরূপ সৌন্দর্য্য মহিমা ।
তেমনি,   দেখিনি আমি ভারত মাতার
             স্বাধীনতা অর্জনের কষ্ট ;
             দেখিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের
             স্বাধীনতা রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার ;
           দেখেছি শুধু , সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ।
সাগরিকা তুমি,
            স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ।।


   (কবিতাটির   রচনা কাল ১২-০৯-১৯৯৭ ইং )