(সাগরিকা সিরিজের তৃতীয় লেখা)


সাগরিকা তোমায় দিলাম,
    আমার কুসুম কাননের এই শতদল,
    কাঙ্খিত আশীর্বাদের জন্য
    তীলে তীলে আজ অভিশপ্ত ;
    খোঁপায় তোমার দিওনা ঠাঁই
    যেহেতু আমি গুঁজে দিইনি,
    কর কোমল ষ্পর্শে তারে করো তৃপ্ত ।
সাগরিকা তোমায় দিলাম,
     নিস্তব্দ রাতের বিরহ ছন্দে গড়া
     কলমের কালির মতো ঝরা অশ্রু,
     সহস্র পল্লব বেষ্টিত এই কৃত্তিম শতদল ;
    প্রতিটি পাপড়ির বক্ষ হৃদপিন্ডে গড়া
    এলোমেলো শব্দের গোপন স্মৃতি রহস্য,
    আপনি রচে জীবন, যোগ্যতায় অভিশপ্ত শতদল ।
সাগরিকা তোমায় দিলাম,
     হালকা নীলাভ আলোর ঘড়ে কথা বলার আনন্দ
     সাথীহীন জীবনে মুক্ত পথ চলার ছন্দ ,
     চলে যেতে পার তুমি পথরেখার শেষ সীমান্তে ;
     উৎসর্গিত শেষ সম্বলটুকু প্রেম নামে
     আমায় দিয়েছে সব, জীবনে পাওয়ার পথে
     পৌছে গেছি আমি যাকে নিয়ে জীবন দিগন্তে ।
সাগরিকা তোমায় দিলাম,
     আমানত ভেবে বিকৃত করোনা দান
     যা কিছু আমার ছিল, চলার পথের দৃষ্টান্ত করে
     গ্রাহ্যতার চরম অঙ্গীকার যেন আমাকে কাঁদায়,
     সাগরিকা, তুমি পেলে আমায়
     আমি তোমায় দিলাম আমার যাবতীয়,
     এ প্রেম অমর হবে তোমার সার্থকতায় ।


(রচনা কাল -২৩/০৯/১৯৯৭)