আজ বিকেলে এলাম সেরে দারুন এক বিচার সভা
দুই গাঁয়ের মোরল - মাথা সঙ্গে আরও দুই বিধবা,
একে একে সব বিবরন বাদী বিবাদী চাক্ষুস জন
বিয়ে ভাঙ্গার ঘটনা, মেয়ের বাড়ীর রটনা করিল বর্ণন ।


পাত্র গেল মেয়ের বাড়ী সঙ্গে তাহার ভগ্নীপতি
নিয়ম নীতির বেলা শেষে ঘন্টা দুয়েক একান্তে,
বদ্ধ ঘরের নির্জনে বলল কথা দুজনে ,
ফেরার পথে দিনান্তে ইতিবাচক ঈঙ্গিত করিল প্রস্থাপন ।


একে একে লেন দেন আরও যত আয়োজন
সাঙ্গ করে উভয় পক্ষে খেল বসে মহা ভোজন,
হাজার টাকার লকেট সহ আশীর্বাদের মঙ্গলসূত্র
পাত্রীপক্ষ আহ্লাদিত বর পেয়ে বড়লোকের পুত্র ।


ধার্য্য দিনের দশেক আগে হঠাৎ বরের নাকচ পত্র
কনের বাড়ীর ভাঙ্গল আকাশ মাথায় বজ্রাঘাত ;
স্বজন সুজন কজন মিলে রাগের কারন জানতে এলে
সঠিক কোন সুরাহা হলনা আর সহসা, বাধিল সংঘাত ।


অগত্যা দ্বারস্থ পঞ্চায়েতে বিশ্বস্ত, নইলে বিপদ নির্ঘাত ,
সমাধানের সূত্র খূঁজে অনেক ভেবে অনেক চিন্তে
ধনাত্বক বা ঋনাত্বক সভা যদি হয় সার্থক
ভবিতব্য শুভ নয়, যদি লয় দাম্পত্য জীবন ।


দুই গাঁয়ের মান্য গন্য মিলন সভায় এক অভিন্ন
মাথা ঘামায় মীমাংসায় ফলাফল শূন্য ;
পাত্রবেটার এক কথা হেথায় বিয়ে করবে না
যায় যদি যাক প্রান তবুও সে মানবে না ।


পাত্রী পক্ষ খুঁজে কারন কেন হল বিয়ে বারন
নইলে যে পাত্রী দুঃখে করতে পারে আত্ম হনন ;
কি আর করবে অবশেষে ভবিষ্যতের কথা ভেবে
বিয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে বিকল্প ভাবল সবে ।


কূড়ি হাজার দন্ড দেবে পাত্রের পিতা মহীয়ান
টাকায় প্রায়শ্চিত্ত করবে বিয়ে ভাঙ্গার বলীয়ান ।
লাখ টাকার ক্ষতি পুষায় হাজার কূড়ির দন্ডে
কপাল পুড়ীর ভাগ্যলেখা এমনি বুজি খন্ডে ।


হায়রে সমাজ, কি করলি আজ টাকার গরমে
অভাগীনি মুখ ঢাকে কই লজ্বা শরমে ।
আশংকাতে বুক কাঁপে লিখছি যখন কবিতা
"পরিনামের রেশ কি হবে !" যেজন সভার হোতা ।।


(আজকের বাস্তব ঘটনাটির উপর ভিত্তি করেই কাব্য রচনার প্রয়াস করলাম, এক্ষেত্রে ছন্দ , মাত্রা, প্রকাশভঙ্গীর চাইতে আমার মনেক আবেগটাই বেশী প্রচ্ছ্ন্নতা পেয়েছে , বিষয়টি মনকে দাগা দিয়েছে বলে সকলের সঙ্গে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম )