কৃষ্ণা বলে কাবেরী তুই বড়ই বোকা মেয়ে
বয়স তুর কুড়ি ছুঁই আয়নাতে মুখ দেখ চেয়ে,
ঐ যে সেদিন গলির মোড়ে তাপসদা হাসল
বুজলিনা তুই তোর প্রেমেতে প্রেমিক হয়ে ভাসল ।


লাল গোলাপী জামাটা তোর বড়ই বেয়াদপ
ঢাকা শরীর দেয় আবেদন বেলেল্লাপনার ঢপ ।
চশমাটা তোর মানায় ভারী একে বারে মেম
নষ্ট চোখের দুষ্ট কথায় খেলে প্রেম প্রেম ।


কাবেরী তুর নাকটা উঁচু দেখে হিংসে হয়
গাল দুটো তুর লাল লাল যেন কথা কয়,
কলেজ শেষের রাস্তা ধরে একসাথে রিক্সায়
আমি দেখি চুপি চুপি তাপসদা তুর প্রতিক্ষায় ।


ডেবলা ডেবলা চোখ দুটো তুর আর করে দেখিস
বুজতে পারি মনটা চায় মুখ খোলে না বলিস ।
কৃষ্ণা বলে কাবেরী তুই বড়ই বোকা মেয়ে
আবেগ যে তুর লুকিয়ে রাখিস লোক লজ্বার ভয়ে ।


কাবেরী গম্ভীর অতি হাসে মুচকি মুচকি
কৃষ্ণা যেন কচি খুকি ন'বছরের পুচকি,
তুইও কি কম যাস্ যৌবন রূপে গুনে
আমায় বলিস বোকা তুই, তুর কথা কে শুনে।


সেদিন যখন পয়লা বৈশাখ মঞ্চে ধরলি গান
কত যুবক পাগল হলো, তুর বাড়লো অভিমান ।
শেষ বিকেলের লাইব্রেরীতে লাল চুলের সেই ছেলেটা
তুর জন্যেই অপেক্ষাতে বসে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা ।


এক ঘন্টার বড় বলে দেখাস অনেক বড়পনা
নীরবে উপলব্দি করি প্রেমাবেগের আলপনা ।
কৃষ্ণা কাবেরী মিলে ঘরে ফিরে সংঘাতে
চাল চলনে বিয়ে চাপে মাতা পিতার মাথাতে ।


এতটা বসন্ত গেল যেন সবার মনের অজান্তে
নীলাকাশে মেঘের ভেলা, লাল দিগন্ত দিনান্তে,
সাদা মেঘ কালো হল দুই বোনের আকাশে
চঞ্চলা ছুটোছুটি নাবলা খুনসুটি, সব হারাল নিমেশে ।।