কৃষ্ণা কাবেরী গ্রন্থে আজি কৃষ্ণা' কথা করিব বর্নন,
কাবেরীকে দুরে রেখে সবে শুন দিয়া মন ।
কৃষ্ণা কিশোরী বিষন্ন বদনা ছাড়িল নাওয়া খাওয়া
যৌবন কারিল সুখ চুপিসারে প্রেমের বৈঠা বাওয়া,
ভুলিবে আম্র কানন পেয়ারা চুরির দুপুর বেলা
তলিবে স্বপ্ন সুখের বৈকাল ডাং গুলি খেলা ।
চোখের সামনে বারে বারে গোমতীযে ভেসে উঠে
চৈতালী দুপুরে মাতুল সঙ্গে বালু চরের মাঠে ;
হাটু জলে লাই খেলা লুকিয়ে ঝোপের আড়ালে
পায়ের তলের কাকড়া ধরে রান্নাঘরের ঝোলে ।
দিন তারিখ ধার্য্য বটে, বাকি সাত পাকের আসর
পড়া-টরা খেলা-ধুলা স্মৃতি হবে রঙ্গীন বিয়ের বাসর ।
জমিদার পুত্র জামাই অনেক কষ্টের বাবার আবিষ্কার
গোয়ালে গরু আর গোলায় ধানের বনেদী পরিবার ।
বর নাকি বিলেত ফেরৎ কৃষ্ণা শোনে গোপনে
আবার বিলেত পাড়ি দেবে বিয়ে করে দুজনে ।
লাল চুলের গন্ধ ভূলে স্বপ্ন দেখে নতুন করে
প্রবাসীর প্রবাস যাত্রা নব বধূর সংসারে ।
মা কাঁদে বাপ্ কাঁদে কাঁদে  পরশী বোনের সনে
মূর্ছা ছেড়ে পা বাড়ায় বরের সঙ্গে উদাস খুশী মনে ।
কৃষ্ণা কিশোরী বিদায় হল আজি নববধুর সাজে
কাবেরী চোখ মুছে দীর্ঘ্য শ্বাসে মন লাগায় কাজে ।।
লাল টুক্ টুক্ ছোট্ট বউ বরের বাড়ির কলরব
হুমরী খেয়ে ভীর করে জমিদারের গৌরব ।
বিয়ে বাড়ীর ধুমধাম দিন দশেকের ধকল
হাফ্ ছেড়ে শুরু হল ফিরে যাবার কোলাহল ।
বৈঠক ঘরে দফায় দফায় সভার সিদ্ধান্ত
বউ কিছুদিন থাকুক দেশে একা যাবে জয়ন্ত ।
তিন রাত্তিরে কৃষ্ণা শেখে কেমন জীবন দাম্পত্য
ভীষন ঝরে ডাল ভাঙ্গে বিছানা হয় রক্তাক্ত ।
জয়ন্ত'র মন চলে না কৃষ্ণা কাঁদে গোপনে
যেতেই হবে বুজিয়ে কয় ভোরের ভেজা শয়ানে ।
বিলেত গিয়েই ফোনে আলাপ যেমন ছিল কথা
দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটায় কৃষ্ণার মনের ব্যাথা ।