লাল টুক্ টুক্ গাল দুটু তার যেন  চুমুর আধার
এই চুপ চুপ  বাধিসনে গোল খুকুমনি জাগবে,
হাসছে খুকু কাঁদছে খুকু কাটছে দেউর ঘুমের ঘোরে
সৃষ্টিকর্ত্তা কইছে কথা চলে গেলেই কাঁদবে ।
ভীষন পাজি ঠুঁট নারে কথা যেন কইতে পারে
ফিক করে হেসে ফেলে কোলে তোলার হাত বাড়ালে,
মায়ের আঁচল ঠিক চেনা তার হাজার লোকের ভীড়ে
চুক চুক করে দুধ খায় সে মায়ের স্তনে নিরালে ।
মুঠোফোনের গানের সুরে হাত পা নারে তালে তালে
কদ্দিন আর বয়স যে তার বছর হবে রাত পেরোলে,
সোহাগ করে বাবার গালে ঠুঁট লাগিয়ে আদর দেয়
দেখলে আঁধার বেদম চিৎকার কি জানি কি বলে ।
দাদুর কোলে হিসি দিয়ে হি হি করে হাসে
জলের ছোঁয়ায় প্রান যেন পায় স্নানের বালতি ফেলে,
ঠাম্মা ছড়ায় দু ঠ্যাং সোজা তেল মাখাতে রুদ্দোরে
ঝুনঝুনিতে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ায় বিকেলে ।
লাল টুক্ টুক্ গাল দুটু তার যেন  চুমুর আধার
এই চুপ চুপ  বাধিসনে গোল খুকুমনি জাগবে,
বড় হতে দে আগে , এই তো সুখের কাল
আর কদিন পর ব্যাগ কাধে ইস্কুলেতে যাবে ।।


(বাচ্ছাদের ঘুমের মধ্যে হাসা - কাঁদার এই প্রকৃয়াকে
আমার মায়ের মুখে শুনা ভাষায় "দেউর কাটা" বলে জানি বিধায় এখানে এই শব্দগুলো ব্যবহার করলাম কিন্তু আভিধানিক অর্থ আমি জানি না )