আয় সখী আয় বেলা বয়ে যায় নাইতে যাব আজ দুজনায়
দখিনা বায় জল নাচায় শাপলা শালুক ঢেউয়ে ডুবায় ।
যায় ভেসে যায় মাঝ দরিয়ায় প্রতিবাদের মিছিল টানা
ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে সারি সারি কচুরীপানা ।
পাল তোলা তরী বৈঠা হাতে ধরি মাঝি ভাটিয়ালি গায়
দোয়েল দোলে ডালে ডালে মাছরাঙ্গা ঠূঁট রাঙ্গায় ।
ঘরের কোণে কিষাণী হাতে নিয়ে ঝারুনি কিষানকে দেয় মানা,
শক্ত মরদ দিনে দরদ রাতের কথা আছে জানা ।
ঝিলের ধারে বন্যা চারে থোকায় থোকায় বন্যা ধরে
পচা গন্ধে বিষ্ঠা দ্বন্ধে ভেলা ভাসাই দুরে দুরে ।
নদীর বাঁকে কলমী শাকে লুকোচুরি খেলা শেষে
ঝাকে ঝাকে পাখির ডাকে সাঁজের আলোয় মেশে,
ঘরের মধ্যে জ্ঞানের ঋদ্ধে কূপি বাতির ঝাপসালোকে
মা'কে শুনাই নাকের সানাই নালিশ জানায় পাড়ার লোকে ।
আয় সখী আয় বেলা বয়ে যায় নাইতে যাব আজ দুজনায়
বাধন ছাড়া দিশা হারা জলোচ্ছাসের মাঝ দরিয়ায় ।
প্রেমের সুখে স্বর্গলোকে ঘর করব মনের মতন
বসত করব জগৎ গড়ব নতুন করে আবার দুজন ।
লাশ দেখে সজল চোখে স্বজনরা দেবে বিদায়
আয় সখী হব সুখী প্রেমাবেশে একাত্মে জলের তলায় ।।