নাদুস নুদুস গড়ন দেহের গোলগাল চেহারা
দিন মজুরের ঘরের বউ অনটন দিশেহারা,
কপালের লাল সিঁদুর ফোঁটা যেন অস্তমিত রবি
কাজল কালো চোখের গভীর' ছন্দ লেখে কবি ।
মাতাল স্বামী ঘরে ফেরে আকন্ঠ মদ গিলে
রাতটা কাটে ক্ষোভে দুঃখে ভাসে চোখের জলে ।
গেল বছর পাশ দিয়েছে ছেলেটা বড় মেধাবী
বাবার কান্ডে ফুঁসছে নিতি মা যেন তার বান্ধবী ।
রূপে গুনে ছেলেটার মা অহংকারের পাত্রী
কপাল গুনে বেগার খাটে ভুলে দিন রাত্রি ।
অবুজ শিশু সবুজ হয়ে মা'কে শুনায় বায়না
মাগো তুমি বলে কয়ে একটা চাকরি দাওনা ।
দুঃখী মায়ের চোখের জল ছেলের হয়না গোচর
যেন আকাশ কুসুম ভাবে মনে বুকে লাগে মোচর ।
অনেক ভেবে শেষে একদিন নিয়ে গোপন সিদ্ধান্ত
সেজে গুজে ঘোমটা পরে পাড়ি দিলেন সীমান্ত ।
লাজ সরমের মাথা খেয়ে নেতার পায়ে পরে
চোখের জলে দামী কার্পেট ভেজালো তার ঘরে ।
অবশেষে নেতার বুজি হল ভীষন করূনা
হাত ধরে বুকে তোলে বলল 'আর ভেবোনা' ।
প্রশান্তির পরশ নিয়ে ফেরে বিধ্বস্ত বিবশ মাতা
রাঙা সিঁদুর লেপ্টে গেছে ; প্রসন্ন নিষ্ঠুর বিধাতা ।
আজ ছেলেটা মাইনে গুনে অভাব তাড়া নাই
দিন মজুর বাপটা তার স্বভাব দোষে হারায় ।
শূন্য বুকে আকাশ পানে চোখে স্মৃতি ভাসে
বিবশ দেহ অভাব তাড়ায় মায়ের মন হাসে ।