এক চিলতে সেগুন বাগান আপন ধন করতে গিয়ে
আপন হল অনেক জন চেনা জানা ছকের বাইড়ে,
সুখ দুখের কথা বলে প্রানঢালা প্রান নিংরে দিয়ে
স্বজন হয়ে মিশে গেলাম উপবনের পড়শীর ভীড়ে।


সেই থেকে মুর্খ তপন আমি দাদা'র সাগরেদ হয়ে
রিক্সাচালক চালক হল বহুদিনের দিন মজুরী ছেড়ে,
ধারের দিনে হাত পাততে বউকে পাঠায় লজ্জ্বা ভয়ে
মাতাল যেদিন মারায় না পথ ঘুড়পথে বাড়ী ফেরে ।


বিমাতার ঘর গরীব বাবার বড় আদরের সুশ্রী মেয়ে
বউটা বড়ই লক্ষীর প্রতীক প্রথমা জন্মাল খুশীর গোঢ়ে,
দিন কাটে তার সুখে দুঃখে কর্মঠ মাতাল স্বামী লয়ে
বছর পাঁচেক পরে আবার দ্বিতীয়া এল দ্বিধার ঘরে ।


বিপাকে স্ত্রী ডাকে আমায় মুষরে পরা স্বামীর ভয়ে
বিপদতাড়ন হয়ে গেলেও দিতে নারাজ দ্বিতীয়ারে,
দত্তকে নয় আপন ঘরেই দ্বিত্বীয়া বাড়ে অভাগা হয়ে
ঊনিশে বিশ হলেই তপন ঝাল মেটায় বউকে মেরে।


গ্রহনের চাঁদ মুক্তি পায় রাহুর করাল গ্রাস ছুঁয়ে
আয় রোজগার মন্দ নয় ছন্দে ফেরে ধীরে ধীরে,
হি হি শব্দে হাসি শেখে মায়ায় বাঁধে তপ্ত হৃদয়ে
দ্বিতীয়া বড়ই পাজী মেয়ে স্বপ্নে ভাসায় সুখ সাগরে ।


দাদা বড়ই শ্রদ্ধাবান আমন্ত্রনে তৃপ্ত করে অনুনয়ে
অবিসম্ভাবী ভবিষ্যনিধির সঞ্চয় শুধায় ভক্তি ভরে,
ঝর্দ্দাপানের লাল ঠুঁটে তপনের বউ বাঁকা হাসি দিয়ে
মেঘলাকাশে সুর্য্যের উঁকি যেন বিস্তৃত হৃদয় জুড়ে ।


শ্রাবনের ঘন বরিষনে দুরভাষে কম্পিত কন্ঠ ভয়ে
"দাদা  দ্বিতীয়া নাই ঘরে সঙ্গে পাচ্ছি না তেনা'রে",
অজানা আশঙ্কায় শিহরিত মন শ্রাবন ধারায় ধুঁয়ে
আবিষ্কারিলাম প্রাতে তারে পরিত্যাক্ত কূয়োর ধারে ।


অর্দ্ধ চেতন ঘুমে মগন আত্মঘাতী বিষের কৌটা নিয়ে
হায় হায় রবে মিলে ধরি সবে চিকিৎসালয়ে শিয়রে,
হাহাকারে জ্ঞান ফেরে, অজ্ঞান পূ্নঃ দ্বিতীয়ার খোঁজ দিয়ে  
বহুকষ্টে উদ্ধারিলাম দ্বিতীয়ার শব সেই বর্জিত কূয়োর ভেতরে ।


অনাদরে অবহেলায় মৃত্যুপথযাত্রী তপন মৃত্যু ভয়ে
অভিশাপ এড়ায় মৃত্যুর ছলে কৃত কর্মের 'পরে,
অসহায় বউ ক্ষমাঘেন্নায় জীবন ভিক্ষা মাগে পায়ে
চিকিৎসক, সমাজ ক্ষমীলেও তারে ক্ষমীবে কি ঈশ্বরে ?