অনাদ্রিতা নামের মেয়েটা,
আকাশের মেঘে আঁকা বাড়ীটা
স্বপ্নপুরীর হাওয়ার সিঁড়ি বেয়ে
রোজ রোজ সাজায় আপন মনে ।
দখিনা জানালার পাশে আঁকা
আধমরা নদী আকা-বাঁকা
বিকেলের সোনালী রোদ হাসে
হাসনাহেনার বসন্ত বাগানে ।
অলির পরাগরেনু মাখা গায়ের গন্ধ
শিহরন জাগায় শিরা ধমনীতে,
পুলকিত আবেগ জড়ায় কোকিলের স্বরে
রঙ্গীন পাখায় প্রজাপতির বিকিরন
চমকায় আচ্ছ্ন্ন চাহনী সংগোপনে ।
বাস্তবের হাতের কনুইয়ে কালসিঁটে
পুরোনো ক্ষতটা পূনঃসিক্ত রক্তধারায়
গত বাহাত্তর ঘন্টার স্মৃতির বিচরন,
একে পঞ্চমী উপরন্তু কালো' বিশেষন
কতটা বিষাক্ত স্নেহ দিতে পারে
মেলেনা যুক্তি তর্কের বিশ্লেষনে ।
পরন্ত বিকেল অজস্র বিহঙ্গের
ঘরে ফেরার কূজনে,
অনাদ্রিতাকে হাতছানি দেয় মেঘের দেশ
অদৃশ্য বায়ূপথ বাহক সন্ধানে
সুলভ ক' হাত রশি সুকৌশলে
স্বপ্নপুরীর অমোঘ আশা চিরতরে মুক্তি আনে ।