মেঘের পাড়ে রোদ হাসে রং ধনুতে আকাশ ভাসে
কাশের বনে দোল দিয়ে যায় বৃষ্টি ভেজা বর্ষা শেষে ।
চোখে চোখে ঘুম উড়েছে কুমোড় পাড়ার মৃৎ শিল্পে
বাঁশে বাঁশে অট্টালিকায় মায়ের মন্দির গড়ছে কল্পে ।
ঢাকীর ছেলে খাচ্ছে বেত শিখতে হবে তালের বোল
আরতি আর মন্ত্র সাধন খাচ্ছে পুজারীর মাথার চুল ।
বাবার মাথায় টাক্ পরেছে মায়ের বায়না শোনে
সবুজ কচি কাঁচা লাফায় সুখে নতুন জামা কিনে ।
প্রেসের মালিক ব্যস্ত ভীষন রসিদ শেষে ম্যাগাজিন
লেখক পাড়ায় এক হয়েছে ছন্দ লেখার রাতদিন ।
কিষানী কয় এবার পুজোয় যাবো বাপের বাড়ী
আগাম কত বেতন পাবে হিসেব কষে কর্মচারী ।
ঐ পাড়াতে নেইকো পূজা তবুও কেন খুশীর রেশ
অনেক খুঁজে পাঁজি দেখে উৎসুকের হল শেষ,
ঐ পাড়াতে ঈদ এসেছে  এ পাড়াতে দশভূজা
জাতের ভেদ উবে গিয়ে করছে সবাই পূজা-রোজা ।
বুকে বুকে শান দিয়েছে বিভেদ ভোলার হিল্লোল
আকাশ বাতাস দিচ্ছে জানান মহাজাগতিক কল্লোল ।