আমার দেশের আমার গাঁয়ের আজব সব ছলা কলা
অ-সংস্কৃতি কু-সংস্কৃতি অপ-সংস্কৃতি'র মহামেলা ।
এ গাঁয়েতে কারোর ঘাড়ে হাঁমদো ভূতের শ্বাস পরে
কারোর ডোবায় রাত বেরাতে পেত্নী নাকি মাছ ধরে ।
তেঁতুল গাছে আসর বসে অমাবস্যার গভীর রাতে
বটের মূলে বাজাড় বসে অবিশ্বাস্য সাঁঝের গতে।
গেছো ইঁদুর শিকার ধরতে ধরাস করে রাস্তার ধারে
যেইনা পরল গাছ ছেড়ে অমনি লাশ কল্পপুরে ।
লালুর মা মাঝরাতে করল চান রক্তচাপের ভরে
ভূলোর বাবা ডাইনী ভেবে গ্রাম রটাল খুব ভোরে ।
শ্মশান ঘাটের রঙীন আলোর হাজার কথা মুখে মুখে
সব মিলিয়ে মিলে মিশে বেঁচে আছি সুখে দুখে ।
তাল কাটলো উত্তর পাড়ার আশু মাসি'র ছেলের বউ
হঠাৎ দুর্গা হয়ে গেল আছড়ে পরল ভক্তির ঢেউ ।
রাত আঁধারে ধ্যানে বসে দশ দশটা মোমবাতি জ্বেলে
সবার ভক্তি গদ গদে দশভূজা ছায়ার মধ্যে টলে ।
হাজার কথা ফুলজুড়িতে মজায় দশ'এর হাজার দুর্দ্দশা
রোগ ব্যাধিতে আসলে কেউ মেটায়না সে তার উচ্চাশা।
সুখ্যাতিতে চারিদিকে বাড়ছে যখন ভিড় প্রনামী
এমন সময় স্বামীটা তার আত্মাহুতে হলেন স্বর্গগামী ।
পতি বিয়োগ দাগ না কেটে শঙ্খ সিঁদুর রইল যখন অক্ষুন্ন,
ভক্তেরা সব দ্বিধাগ্রস্থে ভক্তিহীনে মুক্তিবিনে হলেন ছিন্নভিন্ন ।
দুর্গা কদিন মান করে বদ্ধ ঘড়ে উপোস করে মৌনব্রতী হয়ে,
মা'কে ডেকে ব্যর্থ হয়ে ঘড় ছেড়ে গ্রাম ছেড়ে দেশান্তরী হয়ে,
রোগতাড়নার "স্বর্গবাসী দেবী" কিংবা স্বামীর দেখা না পেয়ে,
সব ছেড়ে বৈধব্যকে আপন করে ক্ষমা মাগে আশুমাসীর পায়ে ।।


(সূধী পাঠক, আমার গ্রামের সত্যি কিছু ঘটনা তুলে ধরার এ প্রয়াস আপনাদের কাছে ভাল লাগলে আগামীতে আরও কিছু ঘটনা তোলে ধরার ইচ্ছা রইল)