পশ্চিম পাড়ার মনি দাস  বড়ই দশ্যি মেয়ে
মান ইজ্জতের ধার ধারেনা পছন্দের জন পেয়ে,
কদিন আগে বাবা'টা তার অক্কা পেল অযত্নে
ভাইয়েরা সব পরল কেটে আপন মানে মানে ,
বাড়ীর পাশের কাঁঠাল বনে শ্রাবন ধারার রাতে
নাগর পালায় ধরা পরে রাম কুমারের হাতে ।
প্রাতে মনি চিৎকারিয়া প্রকাশ করে স্বপ্নাদেশ
মা মনসা' ভর করেছে এবার দুঃখের হবে শেষ ।
দিনে দিনে মা মনসা' অবিবাহিতা মনি
মা' হলেন সবার মুখে বাজে শঙ্খধ্বনি ।
গাছের শেকর স্বপ্নফল সর্ব্ব রোগের প্রতিকারক
নেই কিছু যার রোগ ব্যধি নয় তা ক্ষতিকারক ।
সারা শ্রাবন রাত মুখর মনসার মঙ্গল গানে
তিথি দেখে ধুম ধামে মা বসেন উঠানে ।
দেখতে দেখতে মনি দাস মা মনসার দয়ায়
আঙুল ফুলে কলাগাছ সোনায় দেহ রাঙায়,
নাগর এখন চিন্তামুক্ত রাম কুমারদের দেশে
মা'য়ের সাথে একা ঘরে গল্প করে বসে ,
ভক্তেরা সব তটস্থ রয় মায়ের আক্রোশ মেটাতে
ওসব ভাবার সময় নেই আর গ্রামবাসীর হাতে ।
মনি সুখে জীবন কাটায় ধনে জনে সম্ভোগে
আড়ালে মা মনসা কটাক্ষে চান অনাচারের রাগে ।
বছর ঘুরে না আসতেই কুমারী মা হওয়ার আশঙ্কায়
মা মনসা ভর ছাড়লেন, গৃহিনী হন বিয়ের প্রতীক্ষায়,
নাগর গেল অচিনপুরে বদনাম কিংবা মা মনসার ভয়ে
মনি এখন একঘরে গ্রামের মানুষ নিন্দে তারে লয়ে ।।