পদব্রজে চলতে গিয়ে কদলী খোসায় পা পিছলে দিয়ে
চিৎ পটাং হয়ে গিয়ে পথের ধুলা মাথায় নিয়ে
রামধনের কোমর গেল গেল বলে
সারা বাজার আসল ধেয়ে ;
দুরের তমাল গাছের তলে
খাচ্ছে কলা মন দিয়ে,
দেখল না একবার ফিরে, কি কান্ড সে করল এসে ।
কোথায় থেকে এলো সে ? কি তার নাম ?
কার বাড়ীতে এলো সে ? কোথায় তার ধাম ?
হাজার প্রশ্নের গুঞ্জনে হঠাৎ রামধন উঠল বলে 'থাম্" ।
আদর করে কাছে ডেকে কাঁধের উপর হাত রেখে
গোপন সন্ধির ছবি এঁকে, সারা বাজার সাক্ষী রেখে,
বাড়ীর কোনের একচালাকে বানিয়ে দিল "বৈকুন্ঠ ধাম"।
দিনে দিনে বৈকুন্ঠ ধাম  দিল ঠাঁই গোটা কয়েক উন্মাদ
কেউবা হাসে কাউবে কাঁদে কেউবা শুধু তাকিয়ে থাকে
রামধন আর বৌদি মিলে দিনে রাতে ঘোঢ় বিপাকে
সামাল দেয় তালিম দেয় দেয় স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ ।
কজন ভাল হয়ে গেল কজন পাগল রয়েই গেল
আবার কজন নতুন এল,
রামধনের যা সম্পদ ছিলো, সবই গেল,
এখন ওরা দুজন মিলে ঐ একচালাতেই পাগল নিয়ে পাগল হল,
জীবন যাপন দুষ্কর যখন আবেগ তখন বিষের মতন
স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক দুটোই তখন এক রকম,
দুটোতে মিলে মিশে রামধন এখন একপেশে
বৈকুন্ঠ ধাম ধুলোয় মিশে হারায় নীরব নীলাকাশে,
ভবঘুরে আপন চিত্তে ধরায় ঘুরে নিজ নিমিত্তে
রামধন হাসে খালি পেটে - বাজারের ঐ তমাল তলে
কলা খোঁজে অন্তরালে - বৈকুন্ঠেতে 'বৈকুন্ঠ ধাম'
রামধন'দের নিবাস বলে ।