শ্রীচরনেষূ বাবা,
প্রনাম জানিবেন ;  কেমন আছেন ?
আপনি নাকি অনেক খেঁটে জীর্ন শীর্ণ হয়ে গেছেন ।
পাঠ্যে লেখা গল্প পড়ে শিখে গেছি
বাবাদের ভীষন শ্রদ্ধা করতে হয়,
বাবাদের বাৎসল্য সন্তানে নাকি
ভবিষ্যনিধির জন্যেই হয় ।
আমি তোমার অনেক ভালো ছোট্ট শিশু
সকাল সন্ধ্যায় পড়ি,
বড় হয়ে দুঃখ তোমার ঘোচাতে যেন পারি ।
ওরা সবাই ভীষন মন্দ,
তোমার নাম লিখতে দেয় না আমায়,
কি সব বলে শুধু দন্দ্ব
তুমি নাকি গোপনে ফেলে গেছ আমায় ।
আজ সকালে নেতা কাকু, কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে
চাচা'র কথা বলল ; হা করে চেয়ে থেকেও বুজলাম না,
মিষ্টি খেয়ে পেট পুরে, চকলেট নিয়ে পকেট ভরে
ঘরে ফিরে কলম নিয়ে চিঠি লিখে, ঠিকানা তোমার পেলাম না ।
আচ্ছা বাবা ! এমন কেন হয় ?
তুমি কি সত্যিই আমায় ......।
জান বাবা, ওরা সবাই বলে আমি নাকি 'জারজ
অথচ এমন হওয়ার কথা তো নয়,
যে রক্ত মাংসের আবরনে তিনশত দশদিন
পাকস্থলীর পরশ পেয়ে মাংসপিন্ড পেয়েছ প্রান ঋন,
লক্ষ কোটির হিসেব মত হয়না কেন আমার গুণন ?
সেই যে নেতা কাকু, মাইকে বলল হাসতে হাসতে
বাবা'রা যে যেথায় থাকো মোদের নিয়ে যেতে,
তুমি কি শুনতে পেলে ? বোধহয় পাও না ,
তাহলে কি আর এতটা বছর এমনি ফেলে রাখতে ?
ওরা না ! আজকেই যা একটু আদর করে
লোক দেখানো ; ভীড় কমলেই তাকায় ঘৃনা ভরে ।
আমার ভীষন কাঁদতে ইচ্ছে করে , অশ্রুও ঝরে ,
কান্নারা চোঁয়াল শক্ত করে চেপে থাকে
মনে মনে প্রশ্ন করে , কোন দোষে দোষী' ?
আচ্ছা বাবা, তুমি নিশ্চই বলতে পারবে,
মা কেমন আছে , কোথায় আছে ,
আর কজন জারজ' ফেলে পালিয়েছে !
তোমরা মা - বাবারা এমন করেই পালিয়ে থাক
আমি বড় হয়ে সব জারজের বাবা হবো ।
শরৎ বসন্তের মতো বছর ঘুড়ে আসবে যখন
মজার শিশু দিবস, সব শিশুরা ছাড়বে বেলুন
করবে জয়োল্লাস, মায়ের আঁচল উড়বে হাওয়ায়
হিমেল বাতাস প্রান জুড়াবে সব শিশুদের হৃদয় ।।


(আজকের এই শিশু দিবসে আমার ক্ষুদ্র নিবেদন)