আমায় দেখে মাঠের ধারে কাকতাড়ূয়া খিলখিলিয়ে হাসে,
আমি নাকি মানুষ হলেও মানুষ বলে মানতে রাজী নয় সে,
চূন কালিতে মুখ মাখিয়ে হাড়ি মাথায় খরের গাদায় গায়ে ছেড়া ফতোয়া,
সেও ভীষন করিতকর্মা আর আমি অধম জীব হয়েও জড়ের সমতুল্যা,
চূনে আঁকা সাদা দাঁতে হাওয়ার সুরে কথা বলে জড়পুত্তলী,
রক্ত মাংসের দেহে আমার বোধ বুদ্ধির জড়তা সার বৃথাকুন্ডলী,
রক্তের জলে ফসল বুনে সামন্ত ধায় দিন গুনে জনম ভর ঋণী,
শোধ পরিশোধ ভাষা বিহীন কঙ্কাল সার মেদ হীন দেহের মৃত্যু গূনি ,
আকাশ কাঁদা বারিস্পর্শে  জঠর চিরে মায়ের বুকে উন্মেষিত অঙ্কুরোদগম,
সমূদ্রের ওই লোনা জলে স্বাদুতা পায় নৃশার্দুলে উপেক্ষিত ভ্রংশিত ভৌম ।
কাকতাড়ুয়া ঝড় বৃষ্টিতে দিন দুপুরে রাত আঁধারে আপন কর্মে সদা অবিচল,
ক্লান্তির গ্লানি ভ্রান্তির বানী বিনাস্পর্শে দিবাযামী স্থির লক্ষ্যে আগুসার অবিরল ।।