দেরাজ টেনে ভাঙ্গা আরশি মুখ লুকানোর ঠাঁই
কঙ্কাল সার চোয়াল নড়ে দন্তের সারি নাই,
কবি নামের ভূত তাড়ায় অসংখ্য বিনিদ্র রজনী
প্রত্যুষ লিখে হাভাত রহস্য গর্ভে বিলীন সৃজনী,
ইত্যবসরে গর্ভে সঞ্চরিত ভ্রূণাঙ্কুর কাব্যমালা
গর্ভস্রাব হয় একগুচ্ছ অপরিনত কবিতার ঢালা,
মধ্যবিত্ত শখের খেসারত ইট সিমেন্টের নির্মান
রাত দুপুরের নির্জন নীরবে আবৃতির বাসস্থান,
বিরক্ত স্ত্রীরত্ন বিড়বিড় করে অতৃপ্ত জীবন বাণী
কবিতার আত্মা কষ্ট পায় দৈবজ্ঞ জ্ঞান হয়রানি ।
তদুপরি অকাল প্রসব কত শত শিশু কবিতার
সান্ত্বনার উপঢৌকন রেখে যায় স্মৃতির পাতার ।
আগামীর প্রলুব্ধ উচ্চাকাঙ্খা হাসে অন্তরীক্ষে
যশ খ্যাতি ভ্রু কুঁচকায় কৃচ্ছ্রসাধনা দেখে,
অভিজ্ঞতাহীন অধ্যবসায় দুরন্ত দুর্মদ অভিপ্রায়
দ্বিশত কবিতার ভীড়ে সন্ধান ফলিত প্রচেষ্টায় ।।