একাকী একজন,
বসে আছে ঘড়ের দাওয়ায় শূন্য দৃষ্টে,
ফ্যাকাশে চোখগুলো কুচকানো চামড়ার ভেতর
অশ্রুতে ভেসে যায় আবছা দৃষ্টির বর্তমান,
আপিস ফেরৎ স্বামীর প্রতিক্ষা
শেষে স্কুলের মেয়েটি বা কলেজ ফেরৎ ছেলেটির
একজোটে সব পাইয়ে দেওয়ার তিথিক্ষা
কালচক্রে সব আজ নির্বাসন ।
একাকী একজন,
বসে আছে ব্যঙের চামড়ার মতো দেহটাকে নিয়ে,
মাঝে মাঝে একটা দীর্ঘ্যশ্বাস ,
পাঁজরের হাড়গুলো নরে ঠক্ ঠক্
ঠুঁট দুটো কেঁপে উঠে অস্পষ্ট ভাষায় ।
আর কিছু বলার সাধ্য নেই কি চেষ্টা নেই
সেসব ভাবার মতো প্রিয়জনরা আজ বড় ব্যস্ত
শুভকামনার শব্দ বুকের ভেতরে সমাধিস্ত
শোক - দুঃখ - বেদনা - ব্যর্থতা আর
শেষ সম্বলের শূন্য সমীক্ষায় ।
বসন্তের সুমধুর কোকিল কূজন
তিক্ততার ভীড়ে ক্লিশিতের আর্তনাদ মনে হত,
এখন এ বসন্তে কোকিল কাক ডাকে সমস্বরে
তবুও একাকীত্বে ভাঙ্গন ধরেনা,
কর্ণ কূহরে জমাট বাধা রাশি রাশি জঞ্জাল
ফিরিয়ে দেয় ষড়রস নদীর বাঁধের মত।
চোখের সিক্ত ছানি শুধু মাত্র টের পায়
দু- একজন শুভাকাঙ্খীর চেনা পদচারনা,
পরিচিতি কোন মানে রাখে না, যখন
জীবন মানে মৃত্যু কামনা ।।