সময়ের কাছে দেনা বলে হাটছিলাম হনহনিয়ে
সভাটা না শুরু হয়ে যায়,
তবে তো আর সভাপতি আমার ভাগ্যে নয় ।
খাড়া রোদের তাপ বোধে ছাতা ছিল মাথায়
কানে তুলা দিইনা বলে চলার পথে হঠাৎ এল কানে
"ঐ শালী, তর্ বাপেরে ক' পঞ্চাশ হাজার টেহা পাডাইত
    নাইলে তরে আজগা কিন্তুক আস্তা রাখতাম ন"।
ছাতার শীতল ছায়ার গুনে মাথা ঠান্ডা ছিল বলে
শুনি নাই শুনি নাই করে পাশ কেটে গেলেম চলে,
ঘন্টা তিনেক মঞ্চে বসে ঘুম ঘুম ভাব চোখে মুখে
মাইকের ভীষন শব্দে কান ঝালাপালা -
তবুও বারে বারে প্রতিধ্বনির তরঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছিল
"ঐ শালী, তর্ বাপেরে ক' ...... ।
সভাশেষে সভাপতির সমাপ্তি ভাষনে
এক গাদা উপদেশ আর কিছু শব্দ রঙ্গে'
ছাপ রেখে নিজের, চা পান শেষে
ঘরে ফেরার পালা যখন ছাতা বগল দাবায়
কান পেতে রেখেছিলাম যদি কিছু শোনা যায়
"ঐ শালী, তর্ বাপেরে ক' ...... ।
বাঁশের বেড়ার ফাক ফোকরে বেরুচ্ছিল
টিম টিম করে সলতে জ্বলা পিদিমের আলো,
সাঁজ বেলাতেই নিস্তব্ধ সব যেন ঘুমোচ্ছিল
ডাকছে পেঁচা গাছের ডালে আঁধার জোড়ালো ।


ভোরের স্নিগ্ধ হাওয়ায় আমার ঘুমটা জমে ভাল
নাক ডেকেই জানান দিই সবে রাত পোহালো,
সকালের রবিকর আমার বিছানায় খোঁজতে গিয়ে
শূন্যহাতে ফিরে গেল অন্য কোন ঠিকানায়,
আমার স্থির চোখে সামনের পোড়া লাশটা
মরা চোখে দেখছে আমায় আমার সময়টা,
আজ কোন সভা নেই আর সভাপতি হলেম না
শ্মশানেই কাটিয়ে দিলেম সারাটা দিন......
অন্তোষ্টির ফাঁকে ফাঁকে ধ্বনি পরে বারে বারে
"হরি বোল, বোল হরি"
আমার কানে আবার বাজে, বাজতে থাকে
"ঐ শালী, তর্ বাপেরে ক' ...... ।