আকাশলো তুই অত পাষান কেনে
কাঁদতে পারিস না ? চোখের জল কি
শুঁকিয়ে গেছে ? না কি !
মুখ লুকোচ্ছিস জেনে শুনে !


পাষানী তুই আগের মতোই আছিস তো বেশ সুখে
আবেগ মেখে সাদা মেঘে কাজল কেন দিস না ,
চাতক চাতকী প্রেমে বর্ষা যদি যায় থেমে সন্মুখে
শ্যাওলা বুকে ক্ষত ঢেকে আঁজল খানিক তৃষ্ণা
তুই কি আকাশ ফুঁপরে কেঁদে তৃপ্তি দিতে পারিস না !
গোধরের বিশ্রুত প্রপাত নির্ঝরে নেয়ে নবযুবতী
আপন অঙ্গ ধ্রুপদী দ্যোতি বিচ্ছুরনে জগৎ আবিষ্টায়,
এ কোন অভিমান তব উন্নাসিক খামখেয়ালীপনা
আঁচলে আড়াল করিস স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টির আঙিনায় ।


আকাশলো তুই অত পাষান কেনে
অশ্রু নদী নিচ্ছিস কেন কেড়ে ?
কোটি কোটি সুপ্ত প্রাণ বসে আছে
তোর পানে চেয়ে ।
ভালোবাসার আলিঙ্গনে ধরিত্রী অঙ্গনে
প্রসবিত প্রাঞ্জল জীবন ধারা
নিস্প্রভ নিস্তেজ নিয়ত মাতৃস্নেহ হারা,
পূনঃজীবন সঞ্চার মাগিছে তব অশ্রুধারা ।।