দড়জার ঠিক উপরে যেখানটায় রোজ দশটায়
প্রনাম করে যাত্রা করি সারাদিনের অফিসটায়,
একটা হরিণের আর্দ্দেকটা মাথার খুলির কঙ্কাল
আর দুটি দৃষ্টিনন্দন শৃঙ্গ বসেছিল বহুকাল,
পরশু হঠাৎ তার অ-স্থিততা দৃষ্টিগোচর হতেই
চকিতে মস্তিস্ককোষে একটা সু-শীতল রক্তস্রোত
উৎপন্ন হয়ে সারা দেহের শিরা ধমনী বেয়ে বেয়ে
হৃদপিন্ড থেকে আবার মস্তিস্কে সংবাহিত হচ্ছে ।
তাড়া খাওয়া অফিসের দ্রুত পিছে সরে যাওয়া রাস্তা
উদোম গায়ে বার বার আলিঙ্গনের অবিন্যস্ততা
দুপাশের সারি সারি গাছের তপ্ত স্মৃতিসৌধে দাড়ানো
কঙ্ক্রিটের সাদা সাদা দাঁতগুলোর দ্বেষ্য ভ্যাংচানো,
কর্পোরেট অফিসের দেয়াল ঘেঁষে সদ্য ইতস্তত
নগ্নদেহের পেটসার বাচ্চাগুলোর করূন ত্রস্ত
চাহনি, আমায় নাড়া দিল ব্যস্ততার সীমান্ত রেখায়,
বৃদ্ধাশ্রমের বদ্ধকপাট হা করে খোলা অবেলায়,
চুরি করা হরিণশৃঙ্গ, দু চারটে ময়লা দামী ধুতি
থানার নিখোঁজ ডাইরীতে লিপিবদ্ধ অমূল্য স্মৃতি,
শত প্রহর পরে অমানিশার আঁধারে চাঁদের কণা
স্মৃতিমন্থন আজ বড়ই তৃপ্তিময় অনুশোচনা,
অদর্শিত অবহেলায় পূর্ণিমারাত বিলাসে বিগত
বৃদ্ধাশ্রম, ঘর ছেড়ে তিথিক্ষায় নীরবে অস্তগত
প্রজন্মান্তরের মঙ্গলার্থে রাখা হরিণশৃঙ্গের মায়া
বড় বেশী প্রতিষ্ঠিত সঙ্গী শেষ বিকেলের প্রচ্ছায়া ।।