তুই কে রে ব্যাটা ! আমায় আঙ্গুল দেখাবি ?
আমি কি তুর খাই না পরি ?
সোজা কথা সোজা করে বলার সাহস রাখি বলে,
চোখ রাঙিয়ে শাসন করার দায়িত্ব তোমায় দিইনি ।
স্বৈরতান্ত্রিক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সামন্ত জোতদার
মুছে দিয়ে লেখে গেছে রক্তের ইতিহাস,
বলশেভিক মতবাদে আমরা সর্বহারা প্রোলেতারিয়েত
র‍্যডিক্যাল চিন্তা ধারায় নিজেকে নিরস্ত্র প্রতিবাদে
দিনে দিনে লাল আগুনে ঝলসানো লৌহ প্রত্যয়ে
সূর্য্যালোকের কিরণ ঠেকাতে শিখেছি, তাই
সোজা কথা সোজা করে বলার সাহস রাখি ।
আকাশের ঐ মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখ
কত শিশু রক্ত মাংসের পিন্ড হয়ে জন্মাতে পারেনি বলে
জরায়ূতে মরে পচে মায়ের মৃত্যু ঠেকাতে
মেঘের সাদা ক্যানভাসে রক্তস্খলনের ছবি আঁকে ;
দেখ ঐ দুরের সমূদ্র সৈকত, দিগন্তের সীমানায় হারাতে হারাতে,
তপ্ত বালুরেখায় ঢেকে গেছে কত শত কঙ্কাল
আদর্শের হাতছানিতে শ্রেনীদ্বন্দের চেতনায়
খাড়া করে রেখেছে হাড় ,
মৃত্যুর শামিয়ানায় বজ্রমনির জিগীষায় ।
কালের কব্জি নেরে দৃঢ়চেতা প্রত্যয় অপব্যবহারে
পালতোলা নৌকোর দাড় ভেঙে দিগভ্রষ্টা দিশাহারা
মাঝির ভীরে ,
নিজেকে কি প্রমান করতে চাও ?
মেঘের ক্যানভাস, তপ্ত বালুরেখা,দিশাহারা
মাঝির ভীর
মায়ের আর্তনাদ, ভাইয়ের শক্তচোঁয়াল, বোনেদের প্রতীক্ষা সুহৃদ,
উন্মাদনার লাল ধ্বজার শক্ত ডান্ডা ঘামে সিক্ত অযাচিত তালুষ্পর্শে
মত্ত হাতির জয়োল্লাস পদদলনে পিষ্ট নিরীহ চেতস্বান
তোমাকে তোমার সিংহাসন থেকে নামিয়ে আনবে একদিন ।
পরাজিত ন্যূব্জ মস্তকে স্মৃতির খাতা খোলে হিসেব মেলাবে যখন,
আমাকে আমার স্বত্বাকে ভীষন মনে পরবে আমি জানি,
সুর্য্যাস্তের লাল দিগন্তে চেয়ে দেখো আমার হাসি মাখা মুখের আভাখানি ।