ঘড়িতে সময় এখন ঠিক রাত দুটো,
চারিদিক নিঝুম, ঝিঁঝিঁ পোকাদের
গলা ছেড়ে গাইবার স্বাধীনতার সময়,
আকাশের পঞ্চমী চাঁদ জ্যোৎস্না দেবার সময়,
ছাদের কোণে হাস্নাহেনার প্রস্ফুটিত হবে...
ঠিক এই সময়েও দুএকজন বিনীদ্র রজনী লয়ে
ডাইনিং টেবিলে বসে আছেন সতীত্বের মুচালেকা দিয়ে,
বাড়ান্দার পায়চারীও চোখ এড়ায় না নিশাচরীদের চোখে ।
সারাদিনের অক্লান্ত খাটুনির হাড়ে লিখা লক্ষ কোটি ডলারের নাম
নিশ্চিন্তে স্বপ্নের ঠিকানায় রেস্টুরেন্টের ছদ্মনাম
বেছে নিয়েছে কিছু রঙীন আলোর শেষ বিছানা,
যে কজন রয়েছে ওরা সবাই বাবু নামের লঙ্গরখানা ।
আমি গায়ের নির্বোদ ছেলে গোবেচারা বেয়ারা
জেনে গেছি এ কদিনে ওদের অট্টালিকার স্পঞ্জের বিছানার ঠিকানা,
কাড়ি কাড়ি টাকায় সাজানো থরে থরে ভোগের বৈভবখানা,
মখমলের কার্পেটে লিখে রাখা প্রতিনিয়ত অচেনা পদচিহ্নের প্রতারনা,
ডালে ডালে ফুলে ফুলে অলিগুঞ্জন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা ।
আজও ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে রাত আটটায়
ছুটে আসে আমার ভয়ার্ত চোখের হিংশ্র শার্দুল
পন, পুত্র সন্তান আর জৈবিক লালসার রক্ত নিশানায় ।