ঐ কে রে , ফুল বাগিচায় ? ফুল ছিড়িস্ ?
সাধের বাগান স্বপ্নে গড়া, বাস্তবের রক্তে লেখা
তিলে তিলে সার গোবরে উর্ব্বরা,
জুঁই চামেলীর ডালে ডালে সবেমাত্র শুরু
অলির স্বপ্নীল আনাগোনা,
গোলাপ ! লাল, কালো, নীল, গোলাপী !
বড় শখের স্মৃতি, বাস্তব হলো না ।
বড্ডবেশী যত্নআতি, পরিচর্য্যা, সহানুভূতি
প্রয়োজন বলে অভিমানে এলোনা,
পাহাড়ি ফুলের রঙীন এ সমাহার
সাধ্যের সাধনায় কিন্তু মন্দ না ।
যাই বা আছে, সবটুকু আমার, আমি এখন ওদের
যতটুকু না দিতে পারি , ফিরিয়ে দেয় ওরা অনেক
বিনিময়টা ওদের কাছে নয় প্রাধান্য ;
সন্তানস্নেহে মায়ের কালো রূপের ব্যাঘাত
কিংবা সন্তানের কালো মুখ আজ নগন্য,
তোরা কেউ ফুল ছিড়িস্ না, আমি ওদের পিতা
আগলে রেখেছি বুকে ওদের কথকতা,
ওদের সোহাগ মাখা চাহনিতে আমার আবেগ জড়ায়
সুভাষ দেহের রোমকূপে শিহরন জাগায়,
ওদের অহঙ্কারের গর্বে আমার চোখ ভেজায়
ওদের সত্ত্বায় আমার লেখা কবিতা
কথা বলে নৈসর্গিকতায়......
তোরা কেউ ফুল ছিড়িস্ না, আমি ওদের পিতা ।।