মিষ্টি করে কাছে এসে সুধায় যখন স্ত্রী
হ্যাঁগো শুনছো, বলত, এখন রাঁধব কি ?
নীল আকাশ সাদা মেঘের ভেলায়
দুলছে যখন সুখে, রঙের মেলায়
রঙিন পাখায় গা ভাসিয়ে, অকস্মাতই
বজ্র যেন আঘাত দিল মাথে, ঠিক তখনই
তানপুরাটার তারটা গেল ছিড়ে,
ছন্দগুলো সুর লহরীর বন্দী খাঁচা ছেড়ে
আকাশের উদোম গায়ে আঁচর দিতে দিতে
সহজাত দংষ্ট্রাল আঘাত ভুলে বিলীন হতে
যাচ্ছে দুরে বহুদুরে, যেন বিস্তৃত নদী
মোহনার খোঁজ না পেয়ে নদীতেই সমাধি ।
সান্ধ্য বিনতীর বাহানায় সিক্ত গায়ে মাখা
লোশানের গন্ধে গা গুলায়, রঙিন পাখা
মেলে প্রজাপতি ফুলের আঙিনায়, বলিরেখা
দেহের খাঁজে ছন্দ খোঁজে ফাকা পকেটে
কাঁচা লঙ্কা নূনে রক্তচাপের নিয়ন্ত্রনে
আনুপাতিক অঙ্কে তিক্ততা বেড়ে
কন্ঠের মিষ্টতা বজ্রপাতে সুর মেলায়,
শাদা মেঘের ভেলা ঘন কালো ভয়াল
হিংস্র অর্থকৃচ্ছের থাবায় নিমেশে হারায়
নতুন বসন্তের প্রতীক্ষায় ।