আমি বড় বেশী হতভম্ব হই যখন দেখি
সুর্যটা ঠিকঠাক সময়ে অস্তোদয় হচ্ছে না,
গ্যালিলিও'র পৃথিবীটা ঠিকঠাক ঘুড়ছে না,
সবুজ পাতাগুলো অসময়ে হলুদ রঙ-এ
ঝরে পরে, আকাশের নীল দিগন্তের লাল-এ
লালাভে স্নান করে, বড় বেশী হতভম্ব হই
যখন দেখি প্রকৃতিই অপ্রাকৃত হয়ে যায় ।


আমি বড় বেশী হতভম্ব হই যখন দেখি
উদ্ভিদ সচল সবাক অথচ মানুষ নহে,
পশুদের পাশবিকতা মানুষের সমারোহে,
হিংশ্র জানোয়ার নিরাপদে বাসা বাঁধে সভ্যের
আঁতুড় ঘরে, নিরন্ন মানব কাড়াকাড়ি করে
খাবার তরে, আমি বড় বেশী হতভম্ব হই
যখন দেখি মানুষে জন্তুতে ভেদ ভুলে যায় ।


আমি বড় বেশী হতভম্ব হই যখন দেখি
লিউনার্দো-দা-ভিঞ্চি'র মোনালিসা নীরবে কাঁদে,
নিউটনের আপেলটা ঝরে আকাশের দিকে,
তৃতীয় সূত্র ব্যর্থ প্রমানিত প্রয়োগ বিজ্ঞানে
মানুষের জৈব চাহিদাগুলো ক্রমশঃ হারায়
চারিত্রিক অধঃপতনে, আমি হতভম্ব হই
যখন দেখি মানুষ মানুষকে কামড়ে খায় ।


(আসরের এক কবি বন্ধু, যে আমাকে আপণ দাদা  বলে মানে,(আমিও ছোট ভাই মানি) তারই বিশেষ অনুরোধে আমার আজকের এই লেখার প্রয়াস)