টেপানীয়ার পার্ক বাড়ীটার জামরুল গাছের তলায়
যেখানে শান বাধানো বেঞ্চিটা পাতা,
প্রায়শঃই যাই ওখানে , বিকেল কিংবা ভরদুপুর বেলা ।
মুক্ত বাতাস পাখির কূজন দেবদারুর চিরল চিরল পাতায়
রোদ কিরণের আনাগোনায় গোধূলীর বিকেল গ্রাস
মৌমাছিদের চাকে ফেরার তাড়া দেখে ফুলেল উচ্ছাস,
সোনার থালার স্বর্ণিল আভায় স্বপ্ন রঙীন সন্ধ্যা
মেঘেদের আবছায়ে পরীদের পাখসাট,
ঝরা ঐ মরা পাতা বাতাসে দিগন্তের পাড়ি,
নীরব দুপুরে সবুজ পাতার ছায়ে দুটো ঘুঘুর সখিতা
চর্ চর্ আওয়াজ করে অহীরণির সর্পণ বেগবত্তা
ক্যানভাসে এঁকে রাখার মতো হৃদয়ঙ্গম করে
ফিরে আসা নিয়মিত যেন রোজনামচা ।
পার্কের যে দিকটায় খুব বেশী ফুলের সুবাস যায় না
যেখানে নৈসর্গ মিশে যায় গভীর অরণ্যের ঠিকানায়
যেখানে কপোত কপোতীরা স্পর্শের উষ্ণতার তৃষ্ণা মেটায় ;
কাল বিকেলে কোন এক অজানা রোমাঞ্চে একাকী গিয়ে
অনাকাঙ্খিতের মতো আমি বাধার পাহাড় হয়ে কিছুক্ষন
কিছু কিছু সদ্য দেহরাগে উদ্ভুদ্ধ নবীন-নবীনার চোখের কাটা হয়ে,
নিকোটিনের বিষাক্ত স্বাদ মেখে জিহ্বায়
রেখে এসেছি আমার উদাস মনের রিক্ত অভিশাপ ।
এক দিনের জন্যেও কি তোমাকে ঐ
টেপানীয়ার পার্ক বাড়ীটার জামরুল গাছের তলা টানে না !
হেমন্তের পাকা ধান কেটে, বসন্তের কোকিলকে শীতঘুমে রেখে
যখন তোমার মনে পরবে, আমার অশ্রুজলে ক্ষয়িষ্ণু বেঞ্চিটার কথা,
ততক্ষনে হয়ত আকাশের রংধনু মিইয়ে যাবে আবার বৃষ্টিপাতে,
সোনালী সূর্য্য রেখে যাবে চাঁদ মৃদু আলোর জ্যোৎস্না ধার দিয়ে ,
শূণ্য বুকের দৈন্য তৃষায় তখন হয়তো তোমাকে আর
আমার ঝাপসা চোখের দৃষ্টিতে
বাসি বসন্তের অনুরাগে অভীপ্ষিত মনে হবে না ।