বন্ধু বড় বিজ্ঞ জ্যোতিষী, ঠুঁটের কোনায় রেখে হাসি
নিমেষে হয়ে গেলেন পরম হিতৈষী,
ডান হাতের তালু থেকে আমার কপাল চোখ
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হলেন ভীষন উন্মুখ,
বিনা মেঘের বজ্রপাতে যায় যেন তার জীবন
কাঁচু মাচু মুখখানি তার নিরস বদন,
তালুর ষ্পর্শে ঘামছে তালু ঘামছে বন্ধু  গণক
অঘটনের বলিরেখায় কপালে তার চমক,
দৈবযোগে আমার নাকি ক্ষ্নিক আয়ুষ্কাল
দংশিবে বিষধরে বাকী কিয়ৎকাল,
লক্ষীন্দরের লোহার সিন্দুক উপমা মহান
এ জীবন স্রষ্টার সৃষ্টি , আয়ূ বিধির বিধান ।
দিন গেল বছর গেল হচ্ছে যুগের অবসান
কয়েক ডজন নাগ নাগিনীর দিলেম আমি জীবন দান,
ক্ষনিক কালের হয়না শেষ, দিব্বি বেঁচে আছি
জ্যোতিষ ঠাকুর বন্ধু আমার আজও কাছাকাছি,
সুযোগ পেলেই ঘাড়টি চেপে ধরি তাকে "শ্যালা"
বেচেঁই যখন আছি তবে , এবার তুই পালা ।
দশ বছরের সুখে দুঃখের রঙীন দাম্পত্য ঘর
আলো করে আছে আমার ছোট্ট সোনা মনোহর,
সুঠাম দেহে দুহাত ভরে কাজ করে খাই পেট ভরে
রোগে শোকে সুখ আনন্দে কান্না হাসির প্রেক্ষাপটে
গনিত বিজ্ঞান অর্থ ধন জ্যোতিষ তন্ত্র বিবর্তন
বাস্তবের কুঠারাঘাতে বিচক্ষন বিষর্জন ;
ভাগ্যদেবীর উন্নাসে নির্মম পরিহাসে
জ্যোতিষ্কের ভাষ্কর্য্য জীবনের বিন্যাসে,
আজ হতে ঠিক বছর দশেক আগে
প্রজাপতির নির্বন্ধে রচিত জীবনের ভাগে
এক নতুন উপন্যাস - নায়কের জীবন্ত লাশে
ইচ্ছে গুলির ডানা কেটে  স্রষ্টার শৌর্য্য হাসে ।