আমি এক খোঁড়া শালিক
             নদীর তটে ঘর,
খেয়া ঘাটের মাঝি মালিক
            প্রযত্নে ঈশ্বর ।
পান্তা দিয়ে সকাল শুরু
           খাটুনি দিন ভর,
সন্ধ্যা নামে দুর দিগন্তে
           পিদিম গুনে প্রহর ।
ভাটিয়ালী বাউলা চলে
           গাঁজার গন্ধে বিভোর,
একা মাঝির পরাণ জ্বলে
           আমি সাক্ষী চোর ।
শিশু বেলা খেলাচ্ছলে
           মায়ের সহচর,
শুকনা গাঙে হাটু জলে
           মাছেরা বিস্তর।
গিয়েছিলাম মাছ খেতে
          পা খেল মাছ মোর ,
সেই থেকে মা ছেড়ে গেল
          আমি পথের কুকুর ।
ভাঙ্গা ডেরা রিক্ত মাঝির
          খরের গাদা কুঠরি ,
তারই মাঝে প্রাসাদ মোর
          প্রসাদ পান্তা সকড়ি ।
অকর্মন্য অচল ল্যাংরা
          হীনাঙ্গ শালিক ধরি,
মাঝি বেটা গান গায় "গৌরা,
          এলি কোন রূপ ধরি !"
দিব্যি প্রাতে সুর্য উঠে
          সাঁজে ডুবে দিগন্তে,
হাজার লোক ভবের ঘাটে
          পাড়ি দেয় তার অন্তে ।
চিকির মিকির কন্ঠে মোর
           বাজে প্রার্থনার সুর,
পাড়ি দাতার পাড়ি যেন রয়
            লক্ষ যোজন দুর ।