শ্মশানের ঐ অগ্নিশিখা ধা ধা করে জ্বলে
এখন অনেকটাই স্তিমিত,তুষানলের মত
জ্বলন্ত অঙ্গারগুলো চেয়ে আছে পথের দিকে
মানুষ গুলো কেমন দিব্যি চলে যাচ্ছে ;
যারা এতক্ষ্ন 'হরি বোল , বোল হরি' বলে
আঁধারের বুক চিড়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছিল ।
এতক্ষণ যে নারী,
   হাতের শাঁখার সাথে, কপালের সিঁদুরের সাথে
   ইচ্ছামৃত্যুর ইচ্ছার ভান করে গলা ছেরে গাইছিল
   "আমারে লইয়া যাও, কই গেলা তোমি
    আমারে ভাসাইয়া সায়রে ",
সে এখন ব্যস্ত,
    বাড়ীর চারপাশে গোবরচ্ছটার শুদ্ধিকরনের কাজে,
    চোখের নীচে কপোলে শুকনো অশ্রুদের রেখাপাতে
    ক্ষ্ণে ক্ষ্ণে দীর্ঘশ্বাস , মনের বিশ্বাস - অবিশ্বাস
    ইত্যাদির বীজগণিত বুকে অনাহারী শিশুটাকে
    কোলে তোলে স্নানের ঘাটে যাচ্ছে ;
    একটা খুব ভালো স্নান প্রয়োজন  এখন তার ,
    দেহের ধকল মনের ধকল সব কিছু ধুয়ে মুছে
    আর কিছু ক্ষনের মধ্যেই যে হতে হবে সাফ !
    খুব বেশীক্ষন আর মনে রাখা যাবে না গত'কে
    নয়তো আগামীকে গ্রাস করবে ভূত'এ ।
আরো কিছুক্ষন পরে,
    ওই বাড়ীর ভেতর থেকে টুং টাং থালা বাসনের শব্দ
    আগামী কিছু দিন হয়ত বাড়িটা থাকবে স্তদ্ধ
     অতঃপর চলবে জীবন তার নিজস্ব গতিতে নিয়ত ।
এভাবেই আবার শ্মশান জ্বলবে,
     নিভেও যাবে, থাকবে কারো বাড়ি নিস্তদ্ধ
     ইতিহাস লিখবে কারন, যোগ বিয়োগ
     তবুও আবার মৃত্যু অনিবার্য্য ।
মৃত্যুর স্ংজ্ঞা নিয়ে গবেষনা, জীবনের এষণা
কাল্পনিক পুনর্জনম, বেঁচে থাকার ভ্রম
এতকিছুর পরেও আবার আরেকটি মৃত্যু ...
সোমাটিক মৃত্যু ......অনিবার্য্য... ।।