বলছি সেই সে দিনের কথা, আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা
ডুব দিয়েছি রূপ সাগরে তোলে আনতে জাদু-কৌটা
লুকিয়ে থাকা ভ্রমরটাকে ছিড়ে ছিড়ে প্রাণটা কেড়ে
রাক্ষুসীটার দেহ পুড়ে দখল করব সাম্রাজ্যটা ;
স্থির জলের ঐ মেঘের ছায়া ঝড় বাদলের ঘনঘটা
সব এড়িয়ে সব পেড়িয়ে একশ্বাসে তল ছুঁয়ে নিয়ে
হাতের কাছে পেয়ে কৌটা আমি যখন আনন্দে আত্মহারা
ঠিক তখনি চারপাশেতে হাজার কুমীর অক্টোপাসে ভরা ;
পড়ি কি মরি, কি যে করি , কি করে যে প্রাণ রক্ষা করি !
কৌটা ছাড়ি বৈঠা ধরি, জান নিয়ে সটান দেই পাড়ি,
মাঝ দরিয়ার ভেসে উঠে পাড়ের দিকে যাই
অমনি দাঁতাল রাক্ষুসীটার আওয়াজ শুনতে পাই,
"হাঁউ মাঁউ খাঁউ, আমায় মারতে চাওঁ, এবার কই যাঁও,
পাড়ে আমার পাঁও, 'তলে মাছের ছাঁও, এবার কই যাঁও"।
ঘাপটি মেরে জলের মাঝে ভিরমি খেয়ে মরার মতো
ক'দিন বা ক'প্রহর ছিলাম সেতো জানিনা,
জেগে দেখি বিছানায় বেঁচে আছি শুশ্রষায়
নেই রাক্ষুসী নেই ঠিকানা, অচিন দেশ নাম না জানা,
যন্ত্রের মতো চলছে মানুষ, স্বপ্ন দেখা ভীষন মানা ;
খাবে দাবে শ্বাস ফেলবে শখ আহ্লাদ সব করবে
বারণ শুধু স্বপ্ন দেখা, স্বাধীন চিন্তা ভাবনা ।
সেই থেকে সে দিন থেকে, আমিও আছি বেঁচে
পোষাক আশাক সবই আছে নেই শুধু যে লজ্জা ঘৃণা,
দিনের পরে রাত আসে, জৈবিক ভোগ বিলাসে
আনুপাতিক সন্তান জন্মে, শিয়রে প্রেয়সী হাসে ;
ভীষন ভালো কথা বলে, হাজার হাজার প্রতিজ্ঞা
কথার খেলাপী-ই প্রতিবাদী , সব চলে যথাআজ্ঞা ।