এই সে নদী, এই খানেতে আমার ছিল ঘর
স্রোতের টানে কালের গর্ভে আজ সে বালুচর,
আজও আকাশ নীল ফ্যাকাশে বর্ষা বাদল দিনে
ঢেউয়ের মাথায় সাদা ফেনা বর্শা ফলক হানে ,
শূন্যের বুক চিরে ডানা ঝাপটায় কাক শকুনের দল
জোয়ার জলে যায় ভেসে যায় লাশ পশুদের দঙ্গল,
যাযাবর বেঁদে'র ঘর ডিঙি নায়ে পাল তোলে
বৈঠা হাতে ভাওয়াল গায় সাঁজে পিদিম জ্বলে,
এই খানে এই ঘাটের 'পরে একদিন উলঙ্গ দেহে
জল কাঁদাতে খেলতুম আমি প্রেম প্রীতি আর স্নেহে,
পাঁতি হাসের জলকেলী আর বালি হাসের শিকার
দেখতে দেখতে জলপরীদের  পেতাম বার বার,
এক দিন এক কালো রাতে জলের গর্জ্জন বেড়ে
কেড়ে নিয়ে গেল ঘর ঠেলে দিল মৃত্যুর দ্বারে,
নিরুপায়ের প্রবাসী আজ কপাল গুনে নদীতীরে
গবেষনায় মত্ত নদীর ভাঙ্গন রোধে, শৈশব নীড়ে ।