এই লাবনী, তুর গায়ে এত ঝাঁজাল গন্ধ কীষের ?
তুই তো জানি সহজ সরল বদ্ধ গাঁয়ের মেয়ে ,
তুর গাঁয়েতে আজও নাকি মাটির সোঁদা গন্ধ বয়
হিজল ফুলের গন্ধে ডাহুক বর্ষায় কথা কয় !
পিদিম জ্বেলে ঘরের দাওয়ায় মা তুর পথ দেখে
লন্ঠন হাতে রাতে বাবা ক্ষেতের হালে হাটে !
ষোড়শ ভাইটা এখনো নাকি উলঙ্গ নায় জলে
রাত প্রহরায় বিনিদ্র রয় পাড়া পড়শী সবাই মিলে !
তুই তো আসিস্ নিয়ম করে রোজ সকালে দুই ঘরে
কয়েক ঘন্টার জন্য ;যাস্ তো ফিরে নিয়ম করেই
দিগন্তের ওই লাল সুর্য্যটা যখন হারায় তারণ্য ;
মাইনে বলে যে ক'টা টাকা আসে হাতে
তাতে নাকি তুর সংসার চলেনা ডাল ভাতে !
তাহলে তুর গা এমন মাত্ করা ঘ্রাণ পায় কোথায়
শেষ বিকেলের লম্বা রোদে তুর ছায়া কেমন
দৈর্ঘ্য প্রস্থে রোজ রোজ বৃদ্ধি পায় !


লাবনীটার কালো চোখের মিষ্টি চাহনী
বরাবরই আমায় টানে যেন মায়াবী,
দু পাটি দাঁত বের করে রোজ যেমন
হাসিতে প্রান ভরে, আজও তেমন
হেসে হেসেই জবাব টা তার মুখে...
বুজবে কি আর কাকু তোমি আমার মনের ব্যথা
ও বাসাতে সব বাবু সাহেব পাইক পেয়াদা,
ওদের ঘরে টিকতে হলে হতে হবে শহুরে
চাল চলনে কথা বার্তায় স্বভাব কাপড়ে,
ভূড়ি ওয়ালা বড় কর্তা বলে দিয়েছে
লাজ লজ্জ্বা অভাব ওসব রাখবি তুর গাঁয়ে
এখানেতে এলে পরে ফুল স্মার্ট হবি ।
সেই থেকে যে কাকু আমি, অনেক পাল্টে গেছি
রোজগার আমার বেশ বেড়েছে, আমি এখন দামী ।