কুমোর পাড়ায় পালপুরুষে চাকতি ঘোরায় বাহুবলে
তোমার (পালরমনী) হাতের ষ্পর্শে  ঘুর্ণন মাটি কলসী হয়ে
রূপলাবণ্যে কাঁখে উঠে যমুনার ঘাটে ঘাটে ;
মৃণ্ময়ী মৃৎ চিণ্ময়ীতে কথা বলে মন্ডপে
হাতি ঘোড়া দৌড়ে পালায় আলতু হাতের পরশ পেয়ে ;
আমি রোজ নিয়ম করে নিম তলাতে পথ ধরে
তোমায় বাঁকা চোখে খুঁজি মাটির গন্ধে মাটির ছন্দে,
কাঁচা মাটির কিরণচ্ছটায় ঐশ্বরিক ভাষ্কর্য্যতায়
ব্যাকুলতা সীমা ছাড়ায় মুগ্ধনয়ন আনন্দে,
চোখ যেন তার নিজ হাতে এঁকেছেন সৃষ্টিকর্ত্তা
ঠুঁট দুটোতে দিয়ে গেছেন নেশার যত মত্ততা,
বক্ষোরুহে সুনিপুণে সঠিক মাটির মাপে
অপরূপ অঙ্গ ভূষন বিধাতার খাপে,
নিতম্ব নর্তন নৈসর্গে বিমূ্ঢ় চিত্ত উথলায়
রূপ নৈবদ্য নিবেদনে আমাতে আমি হারায় ।