কূয়াশার চাদর মাখা কবোষ্ণ অগ্রহায়নের সকাল বেলায়
আধফোটা রোদ্দুর ঘাসের ডগায় চিলিক যখন ছড়ায়,
রক্তমাখা নাড়িভুঁড়ি সহ সদ্য ভুমিষ্ট শিশুটার চিৎকারে
আশপাশের নিদ্রাসুখে আচ্ছন্ন পশুপাখিদের চঞ্চলতায়
রচনায় মগ্ন কবির নিবিষ্ট মনের ধ্যান ভঙ্গ করে ;
পাশে যেতে মনে হল পাশের ঝোপে যেন কেউ ছিল
দেখছিল তারে অগোচরে এক্ষুনি সরে গেল নীরবে,
থমকে দাড়ানোর ইচ্ছে ছিল কবির কিছুক্ষন
কিন্তু ততক্ষনে কক্ষপথ থেকে বিচ্যূত হতে পারত পৃথিবী ;
এক বুক অক্সিজেন সহ ঝটকায় কোলে টেনে সটান ফেরে
মাতৃত্বের অভাব মেটানোর সময়ের সেকেন্ডগুলো যেন
লক্ষ কোটি যোজন দুরে ; ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশের অবকাশে
হাজার হাজার স্বপ্ন চোখে ভিড় করে ভবিষ্যনিধির আঁধারে ।
হয়তোবা জারজ পোষাকে রাস্তায় উলঙ্গ ঠিকানার নিবাসী
হতে পারতো,আজকে সুপ্রসন্ন ভাগ্য তার...
কবি ক্রমশঃ জন্ম দিচ্ছে -কবোষ্ণ অগ্রহায়নের কবিতার ।