সারাদিনের প্রখরতা দান করে
ক্লান্ত শ্রান্ত ঘর্মাক্ত দেহটা নিয়ে,
পশ্চিমাকাশে লালিমা এঁকে
যখন সুর্য পাটে যাবে যাবে......
আমি যখন বয়সের কাছে হিসেবে হেরে
জবুথবু মন নিয়ে মতদ্বৈধতায় নিজেকে নিজে
ধিক্কার দিতে দিতে আসছিলাম ফিরে -
সারাদিনের কাজ সেরে ।
শেষ বিকালের প্রসস্থ ছায়ায়,
সুঠাম সবল দেহের সরল কোমল মায়ায় -
প্রথম বারের মতো থতমত খেয়ে
দাড়িয়ে গেছিলুম  তোঁমার মুখের কথা শুনতে
প্রোলেতারিয়েতের স্বপ্নগাঁথা............
প্রোলেতারিয়েত' শব্দটার অর্থ আমার সঠিক জানা ছিল না ;
সেই থেকে তুঁমি আমার স্বপ্নের সেই ফেরিওয়ালা ।


শহিদ মিনারের পাদদেশ থেকে আলোর মিছিলে
লক্ষ ক্রোশ দুরের অভীষ্ট লক্ষ্যের পথ ধরে,
নেতৃত্বের সুনিপুণ দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে বারে বারে
পথহারা পথ থেকে এসেছি ফিরে ফিরে,
-হাহাকার, আর্তনাদে আকাশের ভারী বুকে
কত লক্ষকোটি বজ্র মুষ্ঠি ছুঁড়েছি উর্দ্ধাকাশে
শ্লোগানে শ্লোগানে...
ইয়ত্তা নেই ;
তোঁমার চোখের স্বপ্ন ঝরা বৃষ্টিস্নাত হয়ে
সারিবদ্ধ হয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে আছি মানবতার সরনি বেয়ে ;
মার্কসবাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ দৃপ্ত কন্ঠে শানিত
রক্ত চক্ষু শক্ত চোঁয়াল চওড়া বুকের ছাতি নিয়ে
আঁধার পথে মশাল হয়ে  জ্বলেছিলে...
সহজ সরল হাসির চৌম্বক শক্তিটুকু লয়ে
আজ চলে গেলে কোন সুদূরে !
প্রোলেতারিয়েত, সর্বহারা, মেহনতি মানুষের মিছিল ছেড়ে !
লাল পতাকার তলে অভীষ্ট তোমার সুদৃঢ় রেখে
অশ্রু সিক্ত নয়নে উত্থিত বাহে লক্ষ্য পুরনের অবিচল শপথে ;
আমরা অনুসারী, বৈঠা হাতে তোলে নিয়েছি কমরেড,
পাথেয় তোঁমার দেখানো পথ, তুঁমি হৃদয়ের স্পন্দনে  
তোমায় জানাই "রেড স্যালুট" আজ সশ্রদ্ধ মনে ।


(আমার খুব প্রিয় একজন কমরেড কমঃ চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক-এর প্রয়ানে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য)