সেদিন সেই বৈশাখের তপ্ত দুপুর মাঠে
তুমি আমি দুজন মিলে ক্ষেতের আল ধরে
যাচ্ছিলেম বৈশাখী মেলায়,
হাফ প্যান্টের পকেটে হাতটা বারে বারে
গার্ড দিচ্ছে বেশ কিছু খুচরো পয়সারে
ঝুম ঝুম শব্দের ছন্দে তালে তালে
যাচ্ছিলেম বৈশাখী মেলায় ;
ইচ্ছে ছিল ফেরার পথে একটা টেমটেমি কিনে
ট্যাং ট্যাং ট্যাং করতে করতে হাটবো পথে পথে
হেসেই খুন হলে তুমি
আমরা আর সেই ছোট্টটি নেই বলে ;
আকাশের ঈশান কোনে হঠাৎ মেঘের ঘন ঘটা
নিমেষে কালো ছেয়ে বজ্র বৃষ্টির ঝটকা
আমাদের দিশেহারা দৌড়ে
হাতটি আমার চেপে রেখেছিলে;
যাচ্ছিলেম বৈশাখী মেলায় ;
ছাড় খার মেলার পসার খুব বেশী হলনা আর
ঘরে ফেরা হল সেদিন দুই পুটলা জিলিপি হাতে,
আমি যখন কেঁদে দিলেম
তরমুজটা পরে গেল বলে,
তুমি তখন হেসেই খুন
আমরা আর সেই ছোট্টটি নেই বলে ;


আজকে আমি অনেক বড় বয়সে বা পজিশানে
তুমিও শুনেছি আরও অনেক বড় আমেরিকা লন্ডনে,
বৈশাখ এখনো আসে ফেইসবুকে বা পঞ্জিকাতে
মেলা বসে হায়দরাবাদের সেই খোলা মাঠে,
(যদিও মাঠটি এখন খোলা নেই জানি
মস্ত বড় কলেজ এখন তারই প্রাঙ্গনে)
পারো যদি এসো একবার ১লা বৈশাখে
পেট ভরে তরমুজ খাব, যাব ট্যামটেমি কিনে
সেই গাঁয়ে সেই জন্মভূমে ধুলা কাঁদা মেখে,
পরান খোলে গাইব গান
............একদিন  বাঙ্গালী ছিলাম রে ।