হ্যাঁগো, আজকে যেন কোন তিথি !
লাবনীটা এলো না যে এখনো
তোমায় কিছু বলে গেছে কি ?
আমি কিছু জানি না বাপু
তোমরা বাপ-বেটির কথা,
কবে কোথায় বলে গেছে যে
আজকে বলবে আমায় ?
তারস্বরে বলছে কথা
লাবনীর মা ঊনুনে,
হাড়িতে সীম সুটকি দিয়ে
রাঁধছে ব্যঞ্জন টেনে টুনে ;
বিরবিরিয়ে লাবনীর বাপ বকছে বসে প্রলাপ
অমাবস্যার ভর আন্ধারে
মাইয়ার যে কোন রোজগার !
ঈশ্বর বড় রহস্যময় - আমি বেরোজগার
পোলা একটা দিলনা আমায়
ঘরে বইয়া রক্ত মাংস খাই মাইয়া'ডার ।
রেগে মেগে লাবনীর মা ঘ্যান ঘ্যানিয়ে উঠে
"যাওনা কেরে গোপাটেতে নিয়ে হারিক্যান
দেখবা ভূতে ঘার মটকাইব এই শনির রাইতে "।
এরই মাঝে লাবনী হাজির ঘরের কোণে
মায়ের জন্য নতুন শাড়ি লুঙ্গি বাবার জন্যে,
ভুবনজয়ী তৃপ্তির হাসি রেখে ঠোঁটের কোণে
মায়ের আঁচলে মুখ মুছে আলোতে মুখ এনে,
ঠোঁট ফেটে তার ঝরছে রক্ত যেমন ধরার বুক চিরে
লাভা উঠে বুকের জ্বালা বুকেই গোপন রেখে ;
এক সাথে এক পাতে বসে বাপ মেয়েতে খায়
রক্তের পচা গন্ধে বাবা উদগীর্ণ খায়...
ক্ষুদিতা লাবনী আনন্দে উদর পুরায় ।