আকাশের আধখানা চাঁদ দেখে হাটছিলেম
  বাদল দিনের শেষে পঙ্কিল পথ ধরে,
আগত প্রায় পূর্ণিমার আবাহনী গাইলেম
  মেঘমুক্ত শ্রাবণী রাত স্নিগ্ধ সরোবরে,
আচমকা শীতল এক ঝলক বায়ুহিল্লোল
   দেহাংশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে,
আকাশস্থ অদৃশ্য মেঘরাজি ঢাকিল চন্দ্রক
   পথের পথ-ঘাট-হাট-মাঠ একাকারে,
নিমেশে হাঙর হা 'গ্রাস করছে মেঘকজ্জ্বল
    অসহায় নিশাকর লুকায় চরাচরে,
   বহনীয় দেহ ভর ছন্দহারা পদযূগল
  অক্ষমে পাঁকে নিক্ষেপ করে অবজ্ঞাভরে,
  চাঁদপানা মুখ তোমার ভাসছিল অপচল
  কাঁদছিলে যে তুমি আমার অক্ষিকোটরে,
বুভুক্ষ হাঙর দঙ্গল গ্রাসোচ্ছাসে অবিরল
  খুবলে খুবলে খাচ্ছে তোমায় ব্যভিচারে,
অশীল অশ্লীল জ্বালায় মৃত্যুকাঙ্খা হাহাকার
   অনুবল বাধা হয় অপ্রগল্ভ সংস্কারে ।